ভয়ংকর বন্যার প্রবল স্রোতে কালিদাস পাহালিয়া নদীর ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ৫০ বসতি। হুমকিতে পড়েছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া ব্রিজ। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেছে, ফেনী সদরের ছনুয়া ইউনিয়নের মহাসড়কের লেমুয়া ব্রিজের কাছাকাছি টঙ্গির পাড় এলাকায় এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী ফারুক নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, গত দুইদিনে ৫০ বসতি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। নদীর পাড় ভেঙ্গে প্রায় ৬ একর জায়গা নদীতে তলিয়ে গেছে। ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নিতে গতকাল প্রায় ২ শতাধিক স্থানীয় এলাকাবাসী ফেনী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করে এবং জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করে।
ভুক্তভোগীরা জানান, টঙ্গির পাড় এলাকায় নদীর একটি বাঁক রয়েছে। যে কারণে এখানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। তবে বন্যার আগে ভাঙন ধীরে হলেও এখন দ্রুত সব ভেঙে নদীতে পড়ছে। দ্রুততর সময়ে নদীর বাঁকটি সোজা না করা হলে অথবা আপদকালীন ব্লক বা খুঁটি বসিয়ে ভাঙন রোধ করা না হলে লেমুয়া ব্রিজসহ মহাসড়কের নদীর তীরবর্তী অংশ ধ্বসে পড়তে পারে।
মানববন্ধনে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে এলাকাবাসীরা জানান, বন্যায় এমনিতেই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত। বর্তমানে বন্যার কারণে নদী ভাঙন প্রকট আকার নিয়েছে। নদী ভাঙনের কারণে প্রতি ঘন্টায় এক একটি পরিবার তাদের বাড়িঘর, বসতভিটা, মসজিদ, রাস্তাঘাট হারাচ্ছে। নদী ভাঙন রোধে প্রাথমিক ব্যবস্থা ও বাঁধগুলো আছে সেগুলো সোজা না করা হলে ২০০ পরিবার ভিটেমাটি হারাবে।
রোকসানা আক্তার নামের এলাকার এক বাসিন্দা দৈনিক ফেনীকে বলেন, নদী ভাঙনের কারণে আমরা আমাদের বসতভিটা হারিয়ে রাস্তার নেমেছি। এখন যদি যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তাহলে পুরো এলাকা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের বাড়ি-ঘর, মসজিদ-মাদ্রসা, স্কুল-কলেজ, রাস্তাঘাট বাঁচাতে চাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার দৈনিক ফেনীকে বলেন, সেখানে ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আদেশ পেলে আমরা কাজ শুরু করব।