পাত্রীর বয়স ১৩ বছর। সে শহরের রামপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। আর পাত্রের বয়স ২৫ বছর। সে একটি কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে। তাদের দুই পরিবারের সম্মতিতে আজ শুক্রবার (২৬ জুন) ঠিক হয়েছিল বিয়ের তারিখ। শহরের রামপুর হাফেজ উকিল বাড়িতে পাত্রীর বাসায় চলছিল বিয়ের আয়োজন। বিয়ে পড়াতে হাজির হয়েছিলেন কাজীও। আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য আয়োজন করা হয়েছিল ভোজের।
সবই ঠিক ছিল, কিন্তু মাঝখানে বাধ সাধলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমা শিরিন। খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করলেন তিনি। একই সাথে ভ্রাম্যমান আদালতে বাল্যবিয়ের দায়ে কাজী আবদুল মতিনকে ২০ হাজার টাকা ও মেয়ের বাবা মোঃ জহির উদ্দিনকে ১৫দিনের কারাদন্ড দিয়েছেন তিনি।
তাসলিমা শিরিন জানান, খবর পেয়ে আজ দুপুরে ওই বাড়িতে অভিযান চালায় ভ্রাম্যমান আদালত। সেখানে গিয়ে খবরের সত্যতা মেলে। মেয়েদের গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুরে হলেও তার সেখানে বাসা ভাড়া করে থাকতেন। দুই পরিবারের সম্মতিতেই চলছিল বিয়ের আয়োজন। ভ্রাম্যমান আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে বর আনোয়ার পালিয়ে গেলেও বাল্যবিয়ের দায়ে ১৮ নং ওয়ার্ডের নিকাহ রেজিস্ট্রার আবদুল মতিনকে ২০ হাজার জরিমানা ও মেয়ের বাবার মোঃ জহির উদ্দিনকে ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
তিনি বলেন, একইসাথে বিয়ের জন্য রান্না করা খাবারগুলো জব্দ করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহায়’র সহযোগিতায় শহরের রেলস্টেশন এলাকায় ছিন্নমুল শিশু ও ভাসমানদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
ফেনী পৌরসভার ১৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফু উদ্দিন, ১৬ নং ওয়ার্ড বাউন্সিলর আমির হোসেন বাহারসহ ও আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা অভিযানে অংশ নেন।