ফেনী শহরের শিবপুর এলাকার আয়েশা আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ সোমবার (২০ এপ্রিল) সকালে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে নিজ ঘরে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে সে।
আয়েশা উত্তর শিবপুর উজির আলী ভূঁঞা বাড়ির মোঃ হানিফের ছোট মেয়ে। সে শহীদ মেজর সালাহউদ্দিন (বীর উত্তম) উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) সাজেদুল ইসলাম জানান, লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ হয়েছে। অভিযোগ পেলে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হবে।
নিহতের বাবা জানান, একই এলাকার শফিকুর রহমানের ছোট ছেলে নুর আলম আরমান হোসেনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আয়েশার। পাঁচ মাস আগে জানতে পেরে শফিকুর রহমানকে অবগত করেন এবং ছেলেকে সামলাতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন মেয়ে তার বিয়ের বিষয়ে আরমানের পরিবারের সাথে কথা বলতে আমায় চাপ দেয়।
অশ্রুসিক্ত মোঃ হানিফ বলেন, গতরাতেও আমি মেয়েকে বুঝিয়েছি, মেয়ের পাগলামী দেখে আমি সকালে ছেলের বাবার সাথে কথা বলতে যাই। ফিরে এসে ঘরে মেয়ের ঝুলন্ত লাশ দেখি। আমার চিৎকারে আশেপাশের সবাই ছুটে এসে দড়ি কেটে তাকে নামায়।
প্রতিবেশী শাহেনা আক্তার বকুল বলেন, প্রেমের বিষয়ে যেহেতু উভয় পরিবার আগে থেকে অবগত তাই উচিত ছিল এলাকার কয়েকজন মুরব্বির সাথে কথা বলে বিষয়টা গুরুত্ব দেয়া।
আরমানের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। পরিবারের লোকজন জানায় সে তার নানার বাড়িতে গেছে।
আরমানের পিতা শফিকুর রহমান বলেন, ছেলের সাথে আয়েশার সম্পর্কের কথা জানতাম তবে ছেলেকে সরে আসতে বলেছি। মেয়েটা আত্মহত্যা করবে কেউ ভাবেনি।
একাধিক প্রতিবেশী দাবি করেন আরমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আত্মহত্যার বিষয়ে সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে।