ফেনীতে ১৫০ বস্তা ভারতীয় চিনি ও ২৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলায় চার্জগঠন করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ফেনী সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সিরাজুদ্দৌলা কুতুবীর আদালতে এ চার্জগঠন সম্পন্ন হয়।

আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন খান জানান, চার্জগঠনের মধ্য দিয়ে মামলাগুলোর বিচার কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো। দ্রুত সময়ের মধ্যে দুটি মামলায় চার্জগঠন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, সীমান্ত দিয়ে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় চিনি ও অন্যান্য পণ্য চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়, এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের ১৩ জুন সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় চিনি নিয়ে আসার সময় ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের খাজুরিয়া কমিউনিটি ক্লিনিকের সামনে বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারবারিরা পালিয়ে যায়। এ সময় পিকআপ চালক মো. শাহীন আলমকে (২৮) আটক করা হয়। পরে পিকআপভর্তি ১৫০ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করা হয়, যার ওজন প্রায় ৭ হাজার ৫০০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।আটক শাহীন আলম লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি থানার মো. কামাল উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় ফুলগাজী থানার এসআই সমীর মজুমদার বাদী হয়ে শাহীন আলমকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো. জাহাঙ্গীর আলম ওই বছরের ২৮ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

অন্যদিকে ২০২৪ সালের ২০ নভেম্বর ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জোয়ারকাছার এলাকায় মাদক পাচারের সময় ২৩ বোতল ফেনসিডিলসহ নুর মোহাম্মদ রাহিম ওরফে রাহিকে (২২) আটক করে বিজিবি। তিনি ওই এলাকার পেয়ার আহাম্মদের ছেলে।

এ ঘটনায় বিজিবির নায়েব সুবেদার মো. গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই পারসিত চাকমা ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর রাহিকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এই মামলায়ও ১০ জন সাক্ষী রাখা হয়েছে।