সোনাগাজীতে কিশোরী ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় চাচা তমিজ উদ্দিন নয়নের (৫০) সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।
আজ শুক্রবার (৯ অক্টোবর) বিকালে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল ইসলাম ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাগাজী থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকারের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি শেষে সাত দিনে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সোনাগাজী থানার ওসি (তদন্ত) আবদুর রহিম সরকার জানান, আজ সকালে নয়নকে আদালতে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানী শেষে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, হাসপাতালে ওই ধর্ষিতা কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষার শেষে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতেই নয়নকে আসামি করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন।
অন্যদিকে এ ঘটনায় সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের চুনি মাঝির নতুন বাড়ির মৃত ছৈয়দ আহাম্মদের ছেলে নয়নকে আওয়ামী লীগ হতে বহিষ্কার করেছে দলটি। আজ শুক্রবার সকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সভাপতি মোঃ ইসমাইল ও সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহফুজ আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তমিজ উদ্দিন নয়ন নিজকে সভাপতি দাবী করলেও ৭নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের অনুমোদিত কোন কমিটি নেই। জেলা ও উপজেলা নেতাদের নির্দেশনা অনুসারে প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকায় ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে নয়নকে দলের সকল স্তরের সদস্য পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হল।
মেয়েটির পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, নয়ন ধর্ষিতার বাবার চাচাতো ভাই। চলতি মাসের ১ তারিখ উক্ত কিশোরী সকালে প্রাইভেট পড়তে যাবার সময় জোর করে বাজারের নিজ দোকানে নিয়ে ধর্ষণ করে চাচা নয়ন। এ ঘটনা কারও কাছে প্রকাশ করলেও তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়া নয়ন। তার ভয়ে মেয়েটি এতদিন মুখ বুজে ছিল। পরে বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি প্রকাশ পেলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। সে রাতেই মেয়েটির অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের তাৎক্ষণিক অভিযানে নিজ বাড়ি হতে নয়নকে আটক করা হয়েছিল।