ধরুন আপনি ২০০ টাকা দিয়ে এক কেজি মিষ্টি কিনলেন। আর মিষ্টির প্যাকেটের ওজনই হচ্ছে ১৭০ গ্রাম। তাহলে আপনার পকেট থেকে ৩৪ টাকা এমনি চলে গেল। তার মানে হলো-শুধু আপনি ওই মিষ্টির প্যাকেটটিই কিনলেন ৩৪ টাকা দিয়ে।
আর এভাবেই লোক ঠকিয়ে, ওজনে কারচুপি করে ব্যবসা করছিলেন ফেনীর বড় বাজারের ধানপট্টির ৪ মিষ্টি ব্যবসায়ী।
কিন্তু আজ সোমবার (৭ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে রক্ষা হল না তাদের। অভিযান চালিয়ে ওজনে কারচুপির দায়ে ওই ৪ ব্যবাসায়ীর জরিমানা করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এন এম আবদুল্লাহ আল মামুন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে জানান, ওই দোকানগুলোতে অভিযান চালালে ওজনে কারচুপির বিষয়টি ধরা পড়ে। মিষ্টির খালি প্যাকেট ওজন করে দেখা যায় সেটির ওজনই ১৭০ গ্রামের মত। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৬ ধারায় তাদের মোট ৪২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩জন ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার করে ৩০ হাজার ও অপর একজনকে ১২হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তার কমমূল্যে মিষ্টি বিক্রি করেন। কিন্তু মিষ্টির প্যাকেটের ওজন তা পুষিয়ে নেবার চেষ্টা করেন। অভিযানে মিষ্টির প্যাকেটের নিচের ভারী অংশটি নষ্ট করে ফেলা হয়। এছাড়া সবজি বাজারে একই অভিযানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করায় এবং মাস্ক পরিধান না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় এক ব্যক্তির ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, এর আগে ইসলামপুর আবু বক্কর সড়কে পেয়াজ-রসুন-আদার পাইকারী দোকানে অভিযান চালানো হয়েছিল। এসময় মূল্য তালিকা এবং বিক্রয়মূল্য যাচাই করে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় কমিশন এজেন্টদের ক্রয়মূল্য নিয়মিত লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষণ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে পেঁয়াজ ৩৭-৩৮ টাকা দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে এবং বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। গত দুইদিনের চেয়ে পেঁয়াজের মূল্য কমে এসেছে এবং আশা করা যায় নিয়মিত মনিটরিং এর ফলে দাম আরও কমে আসবে।
অভিযানে জেলা বিপনন কর্মকর্তা হারুন অর রশিদসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অংশ নেন।