মুজিব বর্ষে ১০ টাকা কেজি দরে চাল পাবে ফেনীর ৪৩ ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ১১ হাজার ৬শ ১৬ জন দরিদ্র সুবিধাভোগী। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ সহিদ উদ্দিন মাহমুদ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মুজিব বর্ষে ১০ টাকা কেজিতে ৭ মাস ধরে চাল পাবে সুবিধাভোগীরা। এ কর্মসূচির মাধ্যমে ফেনী জেলার ৪৩টি ইউনিয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত ৪৩টি ডিলারের মাধ্যমে ১১ হাজার ৬শ ১৬ জনকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল প্রদান করা হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেন, পূর্বে এ কর্মসূচি ৫ মাস ধরে পরিচালিত হলেও, মুজিব বর্ষে তা ৭ মাস ধরে চলবে। প্রথম ধাপে চলতি বছরের মার্চ হতে মে মাসে চাল বিতরণ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চাল বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও জানান, মুজিব জন্ম শতবর্ষে সারা বাংলাদেশের একশটি উপজেলাতে পুষ্টি চাল বিতরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে খাদ্য বিভাগ। এর আওতায় পুষ্টিহীনতা দূর করতে ফেনীর পরশুরাম ও ছাগলনাইয়া উপজেলাতে পুষ্টি চাল বিতরণ করা হবে।
ছাগলনাইয়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ আবু সাঈদ বলেন, মুজিব বর্ষে ছাগলনাইয়া উপজেলার তালিকাভুক্ত ১ হাজার ২০ হতদরিদ্রকে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করা হবে। তিনি বলেন, সরকারের চাল বিতরণের এ কার্যক্রম সারা বছরব্যাপী চলমান রাখা গেলে হতদরিদ্ররা বেশি উপকৃত হত।
দাগনভূঞা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তপন মল্লিক বলেন, মুজিব বর্ষে এ উপজেলায় তালিকাভুক্ত ১ হাজার ৪ শ ৬৭জন হতদরিদ্রকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে মোট ৪০টন চাল বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে উপজেলা খাদ্য বিভাগ। তিনি বলেন, সরকারের এ কার্যক্রমের ফলে হতদরিদ্র মানুষরা স্বল্পমূল্যে চাল পাবে।
সোনাগাজী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ খোরশেদুল আলম বলেন, মুজিব বর্ষে উপজেলার ২ হাজার ২শ ৮৬জন হতদরিদ্রকে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে ৭ মাস চাল বিতরণ করা হবে।
পরশুরাম উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক শৃংগধর বড়ুয়া জানান, পরশুরাম উপজেলায় ১ হাজার ৪শ ৩৯জন হতদরিদ্রকে ১০ টাকা প্রতি কেজি দরে চাল বিতরণ করা হবে। তিনি জানান, ফুলগাজীতে ২ হাজার ৭শ ১জন হতদ্ররিদ্র এ কর্মসূচির আওতায় চাল পাবে।