ফেনীতে একমাসে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ৮২ টন ভোগ্যপণ্য সরবরাহ করেছে টিসিবি। আজ বুধবার (১৫ এপ্রিল) সকালে ষষ্ঠ ধাপের শেষদিনে শহরের মহিপাল ফ্লাইওভারের নিচে ও শহীদ মিনারের সামনে ভোগ্যপণ্য বিক্রয় করছে অনুমোদিত ডিলার মেসার্স মনসুর ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ও বাবু ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। ভোগ্যপণ্যের মধ্যে রয়েছে ছোলা বুট, চিনি, ডাল ও ভোজ্যতেল।
মনসুর ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মালিক ও টিসিবির ডিলার হুমায়ুন কবির জানান, ১৭ মার্চ হতে এ পর্যন্ত ফেনীতে মশুরের ডাল ৬.১৫ টন, ভোজ্যতেল ৪৬ হাজার লিটার, চিনি ১০.৯৫ টন, ছোলা বুট ৩ টন টিসিবি হতে বিক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম হতে আরও ১৫.৯ টন ছোলা বুট, চিনি, ডাল ও ভোজ্যতেল বিক্রয়ের জন্য ফেনীতে আসবে।
ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান বলেন, টিসিবি ও ১০ টাকায় ওএমএস এর চাল সরবরাহ অব্যাহত রেখে সরকার খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। যেদেশে একটি ইটের দাম ১২ টাকা সেখানে১০ টাকায় কেজি চাল যে কারও খাদ্যের নিশ্চয়তা দিচ্ছে।
কোনো অসাধু চক্র পণ্য বেহাত না করলে কমদামে সরকারি পণ্য মানুষের হাতের নাগালে থাকবে। তবে কোনো দুষ্ট চক্র বেআইনী কিছু করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ সকালে টিসিবি পণ্য বিক্রয়স্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন চৌধুরী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সাধারণ ছুটিতে নিম্নআয়ের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। আর্থিক সংকটকালে টিসিবির কমমূল্যে ভোগ্যপণ্য মানুষকে স্বস্তি দিবে।
নিয়মিত টিসিবির পণ্য কেনেন শহরের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের গ্রাফিক্স ডিজাইনার রিয়াদ হোসেন। তিনি বলেন, একমাসে চারবার টিসিবি হতে বিভিন্ন পণ্য কিনেছি। বাজারদর অনুযায়ী আমার ৭শ টাকা সাশ্রয় হয়েছে।
টিসিবির পণ্য বিক্রয় ব্যবস্থাপনা নিয়ে কিছু কিছু ক্রেতার অসন্তোষ রয়েছে। রবিউল হক নামে এক দোকান কর্মচারী বলেন, একজন ব্যক্তি যদি বারবার নেয় তবে প্রতিদিনই লম্বা সারি তৈরী হয়। এতে অপেক্ষা করেও পণ্য পাওয়া যায় না।
ছবি-ফাইল ছবি