‘দরজা খুলে একজন অভুক্ত মানুষ নিজ আঙ্গিনায় চাল-ডাল দেখে যে সুখ পেয়েছেন তা আমার প্রশান্তি’। আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মুঠোফোনে আবেগ নিয়ে কথাটি বলছিলেন ফেনী জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক এস এম কায়সার এলিন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সারাদেশে চলছে সাধারণ ছুটি। জরুরী পণ্যের দোকান ব্যতীত সবকিছুই বন্ধ। কার্যত চলছে লকডাউন। এতে বেশী বিপাকে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ। ফেনীতে নিম্ন আয়ের কর্মজীবীদের বড় অংশ ছোট প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কর্মী, হকার এবং দৈনিক বেতনভূক্ত শ্রমজীবী। ফলে এ শ্রেণির মানুষ তীব্র আর্থিক সংকটে।
এলিন জানান, শহরের রামপুরে প্রায় সাতদিন ধরে নিম্নআয়ের মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়া হচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। এ পর্যন্ত ১শ ২০ পরিবারে দেয়া হয়েছে চাল, ডাল, তেল, আটা, লবন, আলু, ডেটল সাবান ও বাংলা সাবান।
এলিন বলেন, আমার বাড়ির আশেপাশে প্রায় ৪শ পরিবার বাস করে যারা মুলত নিতান্ত শ্রমজীবী। এরা লক্ষীপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, খুলনাসহ বিভিন্ন অঞ্চল হতে ফেনীতে এসেছে। এদের কেউ টমটম চালক, কেউ হকার। কেউ কেউ বাজারে দিন মজুরের কাজ করে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের প্রভাব এড়াতে এখন সবকিছুই বন্ধ। এরা না খেয়ে আছে। তাই নিজের কিছু সঞ্চয় ও বাবা হতে কিছু টাকা নিয়ে সহায়তার কাজ চালিয়ে নিচ্ছি।