সতের পদে ৩৫জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও একটিমাত্র প্যানেলের বাইরে ১৬জন প্রার্থীই ফরম জমা দেন নি। ফলে সাধারণ সম্পাদক ব্যতীত সকল পদেই খোকন-বাচ্চু প্যানেল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয়ী হতে চলেছে।
আজ সোমবার (১৯ অক্টোবর) জমাদানের নির্ধারিত সময়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ১৯জন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদে সংগৃহীত তিনটি ফরমই জমা পড়েছে। প্রার্থীরা হলেন আরিফুল হোসাইন রুবেল, গোলাম ফারুক বাচ্চু এবং আবুল হাসান সবুজ।
সভাপতি পদে ফরম জমা দেননি সাবেক সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। কারণ স্পষ্ট না করলেও জনালেন, উদ্ভুত পরিস্থিতিতে আগ্রহ হারিয়েছেন। কেমন পরিস্থিতি জানতে চাইলে উত্তর প্রদান হতে বিরত থেকেছেন।
নির্বাচনের সকল ধাপ নিয়মতান্ত্রিকভাবে অনুসরণ করা হলেও একটি পদে ভোটগ্রহণ নির্বাচনকে আমেজহীন করছে কিনা জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আইনুল কবির শামীম বলেন, প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা না দিলে আমাদের কিছু করার নেই। তফসিল অনুযায়ী নির্বাচন হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভোটার জানান, সাধারণ সম্পাদক পদে আবুল হাসান সবুজ আগামী বুধবার প্রার্থীতা প্রত্যাহারের দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন। তবে প্রার্থী এ বিষয়ে মন্তব্য করেন নি।
নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী কাজী আরিফুল হোসাইন রুবেল বলেন, আমি ৩য় বারের মত ফেনী জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদকের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছি। দায়িত্বপালনকালীন কিছু অসম্পূর্ণ কাজ রয়েছে যা এবারের নির্বাচনে বিজয়ী হলে সম্পন্ন করব।
সাবেক সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু নির্বাচনে নিজের অবস্থান প্রসঙ্গে বলেন, সবকিছু নিয়ম অনুযায়ী চলছে। ভোটাররা আমার পক্ষে আছে।
প্রতিদ্বন্দ্বীতা না থাকায় প্যানেলের পক্ষে ১৭সদস্য বিশিষ্ট কমিটিতে ১৬জনই জয়ী হতে চলেছেন। তারা হলেন, সভাপতি পদে ঈসমাইল হোসেন খোকন, সহ-সভাপতি পদে অনিল বণিক, জালাল উদ্দিন বাবলু, খোরশেদ আলম মজুমদার, সহ-সম্পাদক পদে সুমন বণিক, সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাব উদ্দিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এয়াকুব আলী, প্রচার সম্পাদক শ্যামল সেন, কোষাধ্যক্ষ রাজীব পাল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক উত্তম সেন, জহিরুল ইসলাম পিন্টু, সদস্য অর্জুন বণিক, শিমুল বণিক, বিকাশ বণিক, স্বরুপ মল্লিক, নজরুল ইসলাম মামুন।
উল্লেখ্য আগামী ৭ নভেম্বর ফেনী জেলা জুয়েলার্স সমিতির ত্রিবার্ষিক কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা রয়েছে।