১৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
পৌষের শুরুতেই সারা দেশে জেঁকে বসেছে শীত। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে আসা উত্তরা বাতাসের কাঁপন এসে লেগেছে জেলা শহর ফেনীতেও। গতকাল রাত থেকেই ঘন কুয়াশায় মোড়ানো জনপদে কনকনে ঠান্ডা শীত অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই মেঘাচ্ছন্ন আকাশ আর কুয়াশায় মোড়ানো রয়েছে শহরের আকাশ। সকাল থেকে হাঁড়াকাঁপানো শীত থেকে রক্ষা পেতে গরম কাপড় গায়ে দিয়ে, কানটুপি ও গলায় মাফলার পেঁচিয়ে ঘর হতে বাইরে বের হয়েছেন সাধারণ মানুষ।
মঙ্গলবার সকালে ফেনী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর উপজেলা প্রাঙ্গনে দুঃস্থ, অসহায় ও শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা প্রমুখ।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৪.৫ ডিগ্রি সেলিয়াস। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সকাল ১২ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৮৮ শতাংশ। রাতের তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসতে পারে। ফলে ঠান্ডার অনুভূতি আরও বাড়বে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়, আজ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। আগামী শনিবার পর্যন্ত মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে।
তবে ঠান্ডা বাড়লেও ফেনীতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহের পাটোয়ারী।
অন্যদিকে শীত বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে গরম কাপড় কেনার ধুম। ফেনী শহরের বড় বাজারসহ ফুটপাতের দোকানগুলোতে শীতের গরম কাপড় কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।
আজ সকালে শহরের রাজাঝির দীঘির পাড় ঘুরে দেখা গেছে, দোকানগুলোতে সস্তায় গরম কাপড় কিনতে ভিড় জমিয়েছেন নি¤œবিত্ত ও মধ্যবিত্ত ক্রেতারা। এসব দোকানে স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে সোয়েটার, জ্যাকেট, কম্বল, হাত পায়ের মোজা শীতের আনুষাঙ্গিক সামগ্রী। অন্যদিকে ধনাঢ্য ক্রেতার ভিড় করছেন শহরের বিপনীবিতান গুলোতে।
দীঘির পাড়ের কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ রিপন জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেচাবিক্রির পরিমাণ বেড়ে গেছে। বিশেষ করে বাচ্চা ও বৃদ্ধদের শীতের পোষাক বিক্রি হচ্ছে বেশী। এছাড়া পুরাতন কম্বলের খোঁজ করছেন ক্রেতারা।
গরম কাপড় কিনতে দীঘির পাড়ে আসা আসা নুরজাহান নামে এক গৃহিনী বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাচ্চাদের জন্য গরম কাপড় কেনা জরুরী হয়ে পড়েছে। দীঘির পাড় থেকে বাচ্চাদের জন্য শীতের পোষাক ও নিজের জন্য সোয়েটার কিনেছেন তিনি।