চলতি বছরের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ভোটার সার-সংক্ষেপ অনুযায়ী জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৩ লাখ ২০ হাজার ৭৮৩ জন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনীতে ভোটার ছিল ১২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৩৫ জন। ফেনীর তিনটি সংসদীয় আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটার ফেনী-৩ (দাগনভূঞা-সোনাগাজী) আসনে। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার ৬৭৮ জন, অন্যদিকে সর্বনিম্ন ভোটার ফেনী-১ (ছাগলনাইয়া, ফুলগাজী, পরশুরাম) আসনে। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮৭০ জন। অন্যদিকে ফেনী-২ (সদর) আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৫ জন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম। তবে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফেনী-৩ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৩ হাজার ৬৭৮ জন। এরমধ্যে দাগনভূঞাতে ২ লাখ ৪৮ হাজার ৪৯৩ জন এবং সোনাগাজীতে ২ লাখ ৫৫ হাজার ১৮৫ জন। ফেনী-১ আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৮১ হাজার ৮৭০ জন। এরমধ্যে ছাগলনাইয়া উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৭৬ হাজার ৩৩৩ জন। ফুলগাজীতে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৩৫ জন এবং পরশুরামে ৯৪ হাজার ১০২ জন। ফেনী-২ সংসদীয় আসনের সদর উপজেলায় মোট ভোটার ৪ লাখ ৩৫ হাজার ২৩৫ জন। জেলায় মোট মৃত ভোটার বাদ দেওয়া হয়েছে ১৭ হাজার ৪৬৮ জন। ভোটার স্থানান্তর হয়েছে ৪ হাজার ৪২৩ জন।
নির্বাচন অফিস সূত্র আরও জানায়, ২০২৫ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ফেনী সদর উপজেলায় পুরুষ ভোটার ২ লাখ ২৫ হাজার ৭ জন, মহিলা ভোটার ২ লাখ ১০ হাজার ২২৫ জন। এ উপজেলায় তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার সংখ্যা ৩ জন। সদর উপজেলায় নতুন ভোটার নিবন্ধন করেছেন ১৯ হাজার ৫৪৫ জন। এরমধ্যে বাদ পড়া (যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে কিন্তু আগে ভোটার হননি) ভোটার নতুন নিবন্ধিত হয়েছে ১৪ হাজার ২৮২ জন। নতুন ভোটার (যাদের চলতি বছর ১৮ বছর হয়েছে) নিবন্ধিত হয়েছে ৫ হাজার ২৬৩ জন। এ উপজেলায় মৃত ভোটার বাদ দেওয়া হয়েছে ৬ হাজার ৫১ জন।
একই সূত্রে জানা গেছে, দাগনভূঞা উপজেলায় পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২৯ হাজার ৩৭ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৫৫ জন। উপজেলায় তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার ১ জন। উপজেলায় নতুন ভোটার নিবন্ধন করেছেন ১০ হাজার ৯৭০ জন। এরমধ্যে বাদ পড়া (যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে কিন্তু আগে ভোটার হননি) ভোটার নতুন নিবন্ধিত হয়েছেন ৮ হাজার ২৪৩ জন। এ উপজেলায় মৃত ভোটার বাদ দেওয়া হয়েছে ৪ হাজার ৩৭৬ জন।
সোনাগাজী উপজেলায় পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৩১ হাজার ২৯৭ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৮৭ জন। এ উপজেলায় তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার ১ জন। উপজেলায় নতুন ভোটার নিবন্ধন করেছেন ৯ হাজার ৭৪২ জন। এরমধ্যে বাদ পড়া (যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে কিন্তু আগে ভোটার হননি) ভোটার নতুন নিবন্ধিত হয়েছেন ৫ হাজার ৭৫৫ জন। নতুন ভোটার (যাদের চলতি বছর ১৮ বছর হয়েছে) নিবন্ধিত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৮৭ জন। এ উপজেলায় মৃত ভোটার বাদ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ২৫২ জন।
পরশুরাম উপজেলায় পুরুষ ভোটার ৪৮ হাজার ১৬৫ জন, মহিলা ভোটার ৪৫ হাজার ৯৪৫ জন। তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার ১ জন। উপজেলায় নতুন ভোটার নিবন্ধন করেছেন ৪ হাজার ২০ জন। এরমধ্যে বাদ পড়া (যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে কিন্তু আগে ভোটার হননি) ভোটার নতুন নিবন্ধিত হয়েছে ১ হাজার ৭২২ জন। নতুন ভোটার (যাদের চলতি বছর ১৮ বছর হয়েছে) নিবন্ধিত হয়েছেন ২ হাজার ২৯৮ জন। এ উপজেলায় মৃত ভোটার বাদ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৫৬৪ জন।
ফুলগাজী উপজেলায় পুরুষ ৫৭ হাজার ৩৪১ জন, মহিলা ভোটার ৫৪ হাজার ৯৪ জন। উপজেলায় নতুন ভোটার নিবন্ধন করেছেন ৫ হাজার ১০৩ জন। এরমধ্যে বাদ পড়া (যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে কিন্তু আগে ভোটার হননি) ভোটার নতুন নিবন্ধিত হয়েছে ৩ হাজার ৫০২ জন। নতুন ভোটার (যাদের চলতি বছর ১৮ বছর হয়েছে) নিবন্ধিত হয়েছেন ১ হাজার ৬০১ জন। এ উপজেলায় মৃত ভোটার বাদ দেওয়া হয়েছে ১ হাজার ৪২৫ জন।
ছাগলনাইয়া উপজেলায় পুরুষ ভোটার ৯০ হাজার ৯৯৯ জন এবং মহিলা ভোটার ৮৫ হাজার ৩৩৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গ ভোটার ১ জন। উপজেলায় নতুন ভোটার নিবন্ধন করেছেন ৭ হাজার ৮৩৮ জন। উপজেলায় বাদ পড়া (যাদের বয়স ১৮ বছরের উপরে কিন্তু আগে ভোটার হননি) ভোটার নতুন নিবন্ধিত হয়েছেন ৬ হাজার ১২১ জন। নতুন ভোটার (যাদের চলতি বছর ১৮ বছর হয়েছে) নিবন্ধিত হয়েছেন ১ হাজার ৭১৭ জন। এ উপজেলায় মৃত ভোটার বাদ দেওয়া হয়েছে ২ হাজার ৮০০ জন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানান, আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলবে। এ ভোটার সংখ্যা আরও বাড়বে। ৩১ অক্টোবরের সর্বশেষ তালিকা অনুযায়ী জেলার যতজন ভোটার থাকবে তারা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। মাঠ পর্যায়ে নতুন ভোটারদের বেশ আগ্রহ দেখেছি, নতুনরা উৎসাহ নিয়ে ভোটার হয়েছেন।