তরুণদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন ফেনীর জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, তারুণ্য হলো সমাজ পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। আন্দোলন-সংগ্রাম হোক কিংবা সংস্কার প্রত্যেকটি বিপ্লবেই তরুণদের অংশগ্রহণ অনস্বীকার্য। কিন্তু রাষ্ট্র গঠনের ক্ষেত্রে আবেগ নয়, প্রয়োজন জ্ঞান, বিচক্ষণতা ও দক্ষতা।

গতকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) সকালে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত “তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ” বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভাপিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. ইসমাইল হোসেন।

জেলা প্রশাসক বলেন, কতটা ভালোবাসা থাকলে তরুণরা দেশের জন্য জীবন দিতে পারে! কিন্তু আবেগ দিয়ে রাষ্ট্র গড়া যায় না। সেখানে প্রয়োজন বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা, পরিকল্পনা ও দক্ষতা। তাই সমাজ সংস্কারে তরুণদের যে ভাবনা আছে, তা বাস্তবায়নের জন্য তাদের যথাযথ প্রশিক্ষণ ও গাইডলাইনের প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে একটি বিরল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের রয়েছে বিশাল কর্মক্ষম জনসংখ্যা। এই সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এখনই সময় তরুণদের দক্ষ করে গড়ে তোলার। ফেনীর এক-তৃতীয়াংশ মানুষ প্রবাসী আয়নির্ভর হলেও অনেকেই যথাযথ প্রশিক্ষণ ও কাজের অভিজ্ঞতা না থাকায় প্রবাসে অধিক আয় করতে পারেন না। যার ফলে সম্ভাবনাময় রেমিট্যান্স কমে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা একটি বৃহৎ প্রশিক্ষণ প্রকল্প হাতে নিচ্ছি, যাতে বিভিন্ন সেক্টরে তরুণদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়। কেবল সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত হলেই হবে না, বাস্তবভিত্তিক কাজের দক্ষতা থাকতে হবে। তাহলেই দেশপ্রেম ও অভিজ্ঞতা একসাথে কাজে লাগিয়ে আমরা ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।

আলোচনা সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা আগামীর বাংলাদেশ কেমন দেখতে চাই, সে ভাবনার আলোকে তরুণদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এ আয়োজন। সমাজের প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রয়োজন রয়েছে।

জেলা তথ্য অফিসার আল আমিন বলেন, দেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে তরুণদের শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর। শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা বজায় রেখে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য সচেষ্ট হতে হবে। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও যুব সংগঠনের প্রতিনিধিরা।