দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে ফি আদায় করা হলেও সেই অর্থ নিয়ম মাফিক সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে।
গতকাল সোমবার (১৯ মে) দুর্নীতি দমন কমিশন নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের একটি টিম এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন বিভাগে ঘুরে ঘুরে অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন।
এ ব্যাপারে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ঘুষ প্রদান ছাড়া সেবা না পাওয়া, রোগীদের ওষুধ প্রদানে অনিয়ম, হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ থাকলেও বিনামূল্যে তা প্রদান না করা, ল্যাব টেস্টে গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়, অ্যাম্বুল্যান্সে যাতায়াতের ক্ষেত্রে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায়, ভর্তি রোগীদের পর্যাপ্ত ওষুধ প্রদান না করা, ল্যাব টেস্টের পুরো টাকা সরকারি খাতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করা, নিম্নমানের খাবার সরবরাহের পাশাপাশি চার্ট অনুযায়ী কম খাবার সরবরাহসহ নানা অভিযোগের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোগ নির্ণয়ের বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য রোগীদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে ফি আদায় করা হলেও সেই অর্থ নিয়ম মাফিক সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া রোগীদের খাবার তালিকা অনুযায়ী ৯০ গ্রাম মাংস দেওয়ার কথা থাকলেও ৩০-৪০ গ্রাম দেওয়া হচ্ছে। ভর্তি রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ না করা ও ছদ্মবেশে গিয়ে ৩০০ টাকার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া ১ হাজার ২০০ টাকা নেওয়ার তথ্য পেয়েছি। এসব অসঙ্গতির বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে কথা হয় দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এ এস এম সোহরাব আল হোসাইনের সঙ্গে। তিনি বলেন, বরাদ্দ না থাকলেও সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা চিন্তা করে কিছু পরীক্ষা চলমান রয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগের দায়িত্বরতরা বাইরে থেকে সরঞ্জাম ক্রয় করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এজন্যই টাকা নেওয়ার তথ্য সরকারি কোষাগারে নেই। ভর্তি রোগীদের ক্ষেত্রেও বরাদ্দ না থাকায় প্রয়োজন মাফিক ওষুধ সরবরাহ সম্ভব হয় না। এছাড়া অন্যান্য অসঙ্গতির ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
