শ্রেণিকক্ষ সংকটে ফাজিলেরঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার গোবিন্দপুর ফাজিলেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিনটি ভবন থাকলেও শ্রেণিকক্ষ সংকট কাটেনি। কক্ষের স্বল্পতার কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বাধ্য হয়ে একটি কক্ষ দুই ভাগ করে ক্লাস নিতে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও এলাকাবাসী বলছেন, চারতলা ফাউন্ডেশনের ভবন থাকলেও শুধু একতলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে। দ্রুত দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা নির্মাণ করা হলে সংকট কিছুটা হলেও কাটবে। এ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নেই ওয়াশব্লক।
বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাচীরের ভেতরে ছোট একটি মাঠ। মাঠের একদিকে শিশুদের জন্য দোলনা ও একটি স্লিপার। সব মিলিয়ে কোলাহলমুক্ত শান্ত পরিবেশ। তবে বাইরে থেকে যতটুকু চকচকে দেখায়, ভেতরের চিত্র ঠিক তার উল্টো।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৪৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ফাজিলেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে তিনটি ভবন রয়েছে। ২০০৬-২০০৭ অর্থবছরে নির্মিত ভবনে ২টি কক্ষ। ২০১১-২০১২ অর্থবছরে নির্মিত ভবনে ৩টি কক্ষ। ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে নির্মিত ভবনে আরও ৩টি কক্ষ রয়েছে। সব মিলিয়ে মোট ৮টি শ্রেণিকক্ষ। এর মধ্যে দুইটি কক্ষ বারবার মেরামত করে চালানো হচ্ছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে রুটিন মেরামতের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যায় ৪০ হাজার টাকা।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮ লাখ ৯৬ হাজার টাকা ব্যয়ে তিন কক্ষবিশিষ্ট ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৮শে জুন। কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কামাল এন্টারপ্রাইজ ভবনটি নির্মাণ করে। ভবনটির তিনতলা ফাউন্ডেশন থাকলেও প্রথমতলায় নির্মাণ থেমে আছে। বিদ্যালয়টিতে সরকারিভাবে পাঠদানের জন্য প্রজেক্টর, স্ক্রিন ও ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। তবে প্রজেক্টর নষ্ট থাকায় সেগুলো ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে আধুনিক শিক্ষাপদ্ধতির সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। এসব সরঞ্জাম অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ শিক্ষকদের।
একইসূত্রে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১০ জন শিক্ষক রয়েছেন। শিক্ষার্থী সংখ্যা ২৮০ জন। ২০২০ সালে যেখানে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে শিক্ষার্থী ছিল ৭০ জন, ২০২৫ সালে সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে। ২০২১ সালে ৫২জন, ২০২২ সালে ৭০ জন, ২০২৩ সালে ৬০জন, ২০২৪ সালে ৫১ জন। উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে চলতি বছর ৩৭৬ জন শিক্ষার্থীর জন্য বই সংগ্রহ করা হলেও বিতরণ দেখানো হয়েছে ৩৫০ জনের মধ্যে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরেশ কুমার নাথ বলেন, তিনটি ভবনই একতলা করে নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে মাঠের জায়গা ছোট হয়ে গেছে কিন্তু শ্রেণিকক্ষ সংকট কাটেনি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা নির্মাণ করা হলে সমস্যা অনেকটাই সমাধান হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, নতুন ভবনটি ঊর্ধ্বমুখী (দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলা) সম্প্রসারণ করা হলে শ্রেণিকক্ষ সংকট থাকবে না। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি। ওয়াশব্লক প্রসঙ্গে শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, জায়গার অভাবে ওয়াশব্লক নির্মাণ করা যাচ্ছে না।
এলাকাবাসীর দাবি, বিদ্যালয়ের উন্নয়ন নিয়ে বারবার জানানো হলেও স্থায়ী কোনো সমাধান হয়নি। দ্রুত নতুন শ্রেণিকক্ষ নির্মাণের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এতে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ছে।
ফেনীতে বিজ্ঞান মেলার সমাপনী
সিনিয়রে প্রথম ফেনী কলেজ, জুনিয়রে ফেনী পাইলট হাইস্কুল
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীতে শেষ হলো তিন দিনব্যাপী ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা। উৎসবমুখর আয়োজনে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতায় বিজ্ঞান প্রকল্প উপস্থাপনায় সিনিয়র গ্রুপে ভিশন এইড স্মার্ট নেগিভেশন গ্লাস প্রজেক্ট উপস্থাপন করে প্রথম হয়েছে ফেনী সরকারি কলেজ এবং জুনিয়র গ্রুপে এরোড্রেপ টেকনোলজি' নামে সামরিক প্রযুক্তিতে ব্যবহারযোগ্য ড্রোন প্রজেক্ট উপস্থাপন করে শীর্ষস্থান অর্জন করেছে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়।
বুধবার (১৪ মে) বিকেলে শহরের খায়রুল আনোয়ার পেয়ারু জিমনেশিয়ামে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। প্রধান অতিথি থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে পুরষ্কার ও সনদপত্র তুলে দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইসমাইল হোসেন।
এসময় তিনি বলেন, জ্ঞান-বিজ্ঞানের এই যুগে ঘোড়া-তলোয়ার নিয়ে যুদ্ধ করা চলে না। টিকে থাকতে হলে বিজ্ঞানের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে, উদ্ভাবনী শক্তি অর্জন করতে হবে। এর জন্য পড়ালেখার বিকল্প নেই। তিনি বলেন,আমাদের কিছু শিক্ষার্থী এখন এমন হয়ে গেছে যে, পরীক্ষার আগেই মারামারির প্রস্তুতি নেয়। এটা পরিবর্তন করতে হবে। এসময় সবাইকে আত্মনির্ভর হয়ে নিজের সৃজনশীলতা কাজে লাগার আহবান জানান তিনি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি)মিজ ফাতিমা সুলতানা বলেন, যে যতটুকু প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ, সে ততটাই এগিয়ে যেতে পারে। শুধু সার্টিফিকেট থাকলেই চলবে না। কারিগরি শিক্ষায় মনোনিবেশ করতে হবে। সরকার ভোকেশনাল শিক্ষায় নানা সুযোগ সুবিধা দিচ্ছে, এখান থেকে নিজেকে গড়ে তোলা সম্ভব। সবাইকে নিজের মেধাকে কাজে লাগিয়ে বিজ্ঞান চর্চা করা আহবান জানান।
তিনদিনব্যাপী চলা এ মেলায় বিজ্ঞানভিত্তিক বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শনী, কুইজ ও উদ্ভাবনী কার্যক্রমে অংশ নিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তিগত দক্ষতার পরিচয় দেয়। মেলায় প্রথম হওয়া ফেনী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা ভিশন এইড স্মার্ট নেগিভেশন গ্লাস প্রজেক্ট উপস্থাপন করে। প্রজেক্ট মূল্যায়ণে সেটি প্রথম স্থান অর্জন করে৷ অন্যদিকে জুনিয়র গ্রুপে প্রথম হওয়া সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘এরোড্রেপ টেকনোলজি’ নামের ড্রোন প্রকল্পটি সামরিক প্রযুক্তিতে দেশীয় উদ্ভাবনের নতুন দিগন্তের ইঙ্গিত দেয়। শিক্ষার্থীরা জানায় ড্রোনটিতে রয়েছে মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম, থার্মাল ক্যামেরা, এআই প্রযুক্তি, এবং জিপিএস ট্র্যাকিং সুবিধা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মেলার বিজ্ঞানবিষয়ক প্রকল্প প্রতিযোগিতায় সিনিয়র শাখায় দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ফেনী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং তৃতীয় হয় দাগনভূঞা সরকারি ইকবাল মেমোরিয়াল কলেজ। এছাড়া জুনিয়র শাখায় দ্বিতীয় হয় ছাগলনাইয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় এবং তৃতীয় স্থান দখল করে দাগনভূঞা একাডেমি। বিশেষ শাখায় বিএসটিসি প্রথম, রেক্স দ্বিতীয় এবং জয়নাল হাজারী কলেজ তৃতীয় স্থান অর্জন করে।
কুইজ প্রতিযোগিতার সিনিয়র বিভাগে ফেনী সরকারি কলেজ প্রথম স্থান অর্জন করে এবং জুনিয়র বিভাগে ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রথম হয়।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মিজ ফাতিমা সুলতানার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফী উল্লাহ।
মহিপালে ছাত্র হত্যা মামলায় দাগনভূঞা আ. লীগ নেতা গ্রেফতার
দাগনভূঞা প্রতিনিধি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফেনীর মহিপালে শিক্ষার্থী হত্যাকাণ্ডের মামলায় দাগনভূঞা পৌর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোঃ বেলায়েত হোসেন বেলালকে (৫৩) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বেলাল পৌর এলাকার (৪ নম্বর ওয়ার্ড) জগতপুর গ্রামের মফজল কারী বাড়ির মৃত আবদুল ওহাবের ছেলে। রাজনীতি ছাড়াও তিনি পৌর শহরের ফাজিলের ঘাট রোডের মেসার্স বাংলা মটর হার্ডওয়্যার নামীয় দোকানের স্বত্বাধিকারী।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ তাকে গ্রেফতারের তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেফতারকৃত বেলায়েত হোসেন বেলালকে ফেনী মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ছাগলনাইয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীর মোবাইল ও টাকা চুরি
নিজস্ব প্রতিবেদক (ছাগলনাইয়া)
ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ কোয়ার্টারে একাধিকবার চুরির ঘটনা সংগঠিত হওয়ার পর এবার হাসপাতালের পুরুষ ওয়ার্ডে চুরির ঘটনা সংগঠিত হয়। উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের শফিকুর রহমান (৫৭) নামে এক ব্যক্তি পেটের ব্যথা ও বমির সমস্যা নিয়ে গত সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হয়। মঙ্গলবার (১৩ মে) রাতের কোন এক সময়ে তার স্ত্রীর ব্যাগে থাকা দুইটি মোবাইল ফোন ও নগদ চার হাজার টাকা চুরি হয়। শফিকুর রহমান জানান, রাত সাড়ে এগারোটার পর আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার স্ত্রীর ব্যাগটি নাই। ব্যাগের ভেতর স্মার্ট ফোন ও চার হাজার টাকা ছিলো। এ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে ছাগলনাইয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে জানান।
অন্যদিকে, হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে রোগীর মোবাইল ফোন ও টাকা চুরির বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু তাহের জানান, বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি এবং আমরা তদন্ত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকান্ড
ফেনীতে ছাত্রদলের পৃথক ৪ মিছিল
শহর প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে ফেনী জেলা ছাত্রদল। গতকাল বুধবার (১৪ মে) এই দাবিতে জেলা ছাত্রদল ও আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের পৃথক ৪ টি মিছিল থেকে এই দাবি জানানো হয়েছে।
বক্তারা বলেন, ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করছি। তারা আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ও আমাদের সহযোদ্ধা শাহরিয়ার আলম সাম্য যে নৃশংসভাবে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে তার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমাদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখব।
এদিন রাতে ফেনী জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল নেতৃত্বে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলে জেলা ছাত্রদলের সদস্য শরীফুল ইসলাম রানা, মেজবাহ উদ্দীন মিয়াজী, সদর উপজেলা ছাত্রদল সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াসিন আরাফাত, পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইমতিয়াজ জেকি, কলেজ ছাত্রদল নেতা নোমান উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ফেনী পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আসিফ চৌধুরী ও জেলা ছাত্রদলের সদস্য আল মমিনুর রহমান তারেকের নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। এতে অংশ নেয় ফেনী জেলা ছাত্রদলের সহ-সম্পাদক আবুল হোসেন মাসুম, সমাজসেবা সম্পাদক শেখ মনির রাকিব, ছাত্রদল নেতা নাজমুল হোসেন, আতিকুর রহমান প্রমুখ।
এদিন সকালে ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবদুল হালিম মানিকের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম আহ্বায়ক গিয়াস উদ্দিন স্বপন ও জাহিদুল আবেদীন সাগরের যৌথ সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক কাজী নজরুল ইসলাম দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকের হোসেন রিয়াদ, যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলী জুয়েল, সাইফুল ইসলাম জিকু এবং কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিফাত উদ্দিন শাহরিয়ার, সানী মজুমদার, কাজী মারুফ, সাইফুল ইসলাম বাবলু ও সদস্য মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া। সমাবেশে ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা আর কোনো সাম্যের লাশ দেখতে চাই না। ছাত্র রাজনীতিতে সন্ত্রাস ও হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীরা দেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাউকে গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এখন ছাত্রদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যার জবাব দিতে হবে, জবাব দিতে না পারলে ছাত্র জনতা রাজপথে জবাব দেবে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী যারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। জামিন দিয়ে দেয়া হচ্ছে। এখনও রক্তের দাগ শুকায়নি, এখনও কিভাবে তারা জামিন পায় ছাত্র-জনতা তা জানতে চায়।
এদিন একই দাবিতে জেলা ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সুমনের নেতৃত্ব একটি বিক্ষোভ মিছিল জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাফর উল্লাহ ভূঁইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এহসানুর রহমান সোহাগ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক রিয়াদ মজুমদার, সহ যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন সুজন, সদস্য ও পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ইয়াসিন, পৌর ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ তৌসিফ প্রমুখ।
পরশুরামে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল
পরশুরাম প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ও জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পরশুরাম উপজেলা, পৌর ও কলেজ ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। গতকাল বুধবার (১৪ মে) বিকেলে স্টেশন রোডের দলীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি পরশুরাম বাজারের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে দলীয় কার্যালয়ের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আতাহার হোসেন পাপরুলের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব কামরুল হাসান চৌধুরী বাবুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক সাফায়েত এনাম মজুমদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউদ্দিন ভুঁইয়া রুবেল, শামীম ভূঁইয়া সুমন ও তৌহিদুর রহমান। প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে হাজার হাজার ছাত্রদল নেতাকর্মীরা আন্দোলন করেছে। অনেক নেতাকর্মী শহিদ হয়েছেন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর সব জায়গায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা খুনের শিকার হচ্ছে। মেধাবী ছাত্র সাম্য হত্যায় জড়িতদের দ্রুত বিচার দাবি করেন তারা।