কালিদাস পাহালিয়া নদীতে অবৈধ জাল পাতায় চার ব্যক্তির কারাদণ্ড
সদর প্রতিনিধি
ফেনীর কালিদাস পাহালিয়া নদীতে অবৈধ জাল বসিয়ে মাছের গতিপথ ও চলাচল বন্ধ করার অপরাধে চার ব্যক্তিকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল সোমবার (১২ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন প্রকাশ কালা মিয়া (৪৫), নেত্রকোনা জেলার কোর্মাকান্দা উপজেলার নাজিরপুরের আবদুল ছাত্তার ছেলে আবদুল জব্বার (৪৫), মৃত আব্দুর রাশীদের ছেলে আল আমিন (৩০) ও মো: আবদুল সোবহানের ছেলে মো: সবুজ মিয়া (৫০)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, ফেনী সদর উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড় এলাকায় কালিদাস পাহালিয়া নদীর মাঝামাঝি স্থায়ী (ফিক্সড) নাইলন অবৈধ জাল বসিয়ে মাছের গতিপথ ও অবাধ চলাচল বন্ধ করার অপরাধে চারজনকে কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। প্রত্যেককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং একজনকে ১ হাজার টাকা ও তিনজনকে ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার বলেন, নদীতে অবৈধভাবে স্থায়ী (ফিক্সড) নাইলন জাল বসিয়ে মাছের গতিপথ ও অবাধ চলাচল বন্ধ করার অপরাধে চারজনকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কারাদণ্ড ও জরিমানা প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হলে তার বিরুদ্ধেও কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মৎস্যসম্পদ রক্ষা ও পরিবেশ সংরক্ষনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

অভিযানে সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা উজ্জ্বল বণিক, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

ফেনীতে গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে গাঁজাসহ ৪ মাদকসেবীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার (১২ মে) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফেনীর উদ্যোগে পরিচালিত এক অভিযানে ফেনী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন সরকারি কলেজ অডিটোরিয়ামের পেছনে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উজান দেওরা এলাকার আজিজুল হকের ছেলে মোঃ সাদ্দাম মিয়া (৩২), ফেনী দাগনভূঞা উপজেলার নয়নপুর এলাকার মৃত মোস্তাফার ছেলে ফজল আমিন (৪০), কুমিল্লা জেলার হোমনা উপজেলার মুন্সিকান্দি গ্রামের মৃত নাছির উদ্দীনের ছেলে মোঃ হৃদয় (৩৪) ও সোনাগাজী উপজেলার চরচান্দিয়া এলাকার মৃত আব্দুর রবের ছেলে আব্দুল আওয়াল পারভেজ (৩০)।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে গাঁজা সেবন ও সংরক্ষণের অভিযোগে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতির আলোকে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে পরিচালিত হবে জানানো হয়।

অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন ফেনী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর আহমেদ ও ফারাজ হাবীব খান। অভিযানে সহায়তা করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ফেনী জেলা কার্যালয়ের উপপরিদর্শক মোঃ আবু তাহেরসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তারা।

 


আওয়ামী লীগের আরও ৪ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক
ফেনীতে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের আরও ৪ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। গতকাল সোমবার (১২ মে) রাতে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান দৈনিক ফেনীকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সংগঠনটির সকল কার্যক্রম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিষিদ্ধ করেছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন- ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ভবানিপুর এলাকা মৃত মোবারক মাস্টার ছেলে মোছাদ্দেক আলী খান প্রকাশ ডাক্তার ছাদেক (৬২), ফেনী সদর উপজেলার গোবিন্দপুর এলাকার নুরুন নবীর ছেলে আরিফুল ইসলাম রকি (২৮), ফেনী পৌরসভার দক্ষিণ চাড়িপুর এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে হাজী আবুল কাসেম (৭০) ও দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর গ্রামের মৃত জালাল আহাম্মদের ছেলে মো. ওসমান (৩১)।

এর আগে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাত থেকে শনিবার (১০ মে) পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ২৪ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযানে ফেনী সদর উপজেলা থেকে ৯ জন, দাগনভূঞা থেকে ৬ জন, পরশুরাম থেকে ৪ জন, সোনাগাজী থেকে ৩ জন, ছাগলনাইয়া থেকে ১ জন ও ফুলগাজী থেকে ১ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুজ্জামান বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

ছাগলনাইয়ায় মাটিকাটায় ২ লাখ টাকা জরিমানা
নিজস্ব প্রতিবেদক (ছাগলনাইয়া)
ছাগলনাইয়ায় অবৈধভাবে ফসলি জমির মাটি কাটার দায়ে এক ব্যক্তির ২ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল সোমবার (১২ মে) উপজেলার শুভপুর ইউনিয়নের শমসের গাজীর গুহা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিবু দাশ সুমিত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ফসলিজমির মাটি রক্ষায় নিয়মিত অভিযান চলবে।

 


ছাগলনাইয়া দেবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন
নিজস্ব প্রতিবেদক (ছাগলনাইয়া)
ছাগলনাইয়ার দেবপুর ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল আলমকে অপসারণের প্রতিবাদে সচেতন নাগরিক ও মাদ্রাসার সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীদের ব্যানারে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১২ মে) সকালে মাদ্রাসা ফটকের সামনে মানববন্ধনে মাদ্রাসার প্রাক্তণ ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অধ্যক্ষ নুরুল আলমকে স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর দাবি করে তার অপসারণে প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানায়।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, অধ্যক্ষ নুরুল আলম সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে মোমবাতি প্রতীকে প্রার্থী হয়ে হাসিনা সরকারকে বৈধতা দিয়েছে। নুরুল আলম দেবপুর ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছিলো দাবি করে শিক্ষার্থীরা জানায়, তিনি এ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে যোগদানের পর থেকে আলিম, ফাজিলসহ সকল শ্রেণির শিক্ষার্থী থেকে অতিরিক্ত বেতন নির্ধারণ করেছেন। ২৪ ঘন্টা সময়ে মধ্যে অধ্যক্ষ নুরুল আলমকে অপসারণ করা না হলে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ বর্জনসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে হুশিয়ারি দেয়। অধ্যক্ষ অপসারণের দাবি তারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানায়।

মানববন্ধন মাদ্রাসার সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মাঝে মোঃ হানিফ, এমআর রাজু, মোঃ শরীফ, মোঃ শাহাদাত, আশ্রাফুল ইসলাম রাফি, মোঃ মোজাম্মেল, ইয়াসিন সিকদার, জেলা ছাত্রদলের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জবল পোদ্দার, ছাত্র প্রতিনিধি আরাফাত হোসেনসহ শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্য স্থানীয় ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ফজলুল করিম লিটন দৈনিক ফেনীকে জানান, অধ্যক্ষ নুরুল আলমের নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি কোন অবৈধতার প্রমাণ পাওয়া যায় এবং তিনি যদি স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর প্রমাণিত হয় আইনগতভাবে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।



‘অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হলে পদত্যাগ করব’
দেবপুর ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নুরুল আলমের বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছেন তিনি। তিনি জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ গুলো সত্য প্রমাণিত হলে আমি নিজেই অধ্যক্ষ পদ থেকে পদত্যাগ করব।

অধ্যক্ষ নুরুল আলম দৈনিক ফেনীকে জানান, আমি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়াকে কেন্দ্র করে একটি মহল প্রচার করছে আমি ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর। তিনি জানান, আমি শুধু দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি তা নয়। আমি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ সকল দলের প্রার্থীদের সাথে বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট নামক নিবন্ধিত দল থেকে মনোনীত হয়ে প্রার্থীতা করেছিলাম।

অবৈধভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার অভিযোগ খন্ডাতে গিয়ে তিনি জানান, আমি একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় প্রথমস্থান অর্জন করে এ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদে দায়িত্বগ্রহণ করি। মাদ্রাসার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার বিরুদ্ধে কিছু শিক্ষক ও একটি মহল মিথ্যাচার করছে দাবি করে তিনি জানান, আমি এ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের দায়িত্বগ্রহণ করার পর মাদ্রাসার ৬ শতক জমি দখলবাজদের হাত থেকে সরকারের সহযোগিতায় উদ্ধার করি। মাদ্রাসার আরো কিছু বেদখলিয় জায়গা উদ্ধারে চেষ্টা করাকে কেন্দ্র করে একটি মহল আমাকে এ মাদ্রাসা থেকে হটানোর অপচেষ্টা করছে। এছাড়াও আমি এ মাদ্রাসায় যোগদানের পর শিক্ষকদের আগম প্রস্থানের বিষয়ে কঠোর নজরদারি রাখায় কিছু শিক্ষক আমার বিরুদ্ধাচরণ করে আসছে। মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির অনুমোদন সাপেক্ষে আলিম ও ফাজিল শ্রেণির শিক্ষার্থী থেকে বেতন ফি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের থেকে বেতন, ফি নেওয়া হয় না। এছাড়াও মাদ্রাসার গভর্ণিং বডির বিদ্যোৎসাহী সদস্যপদ প্রত্যাশীদের মাঝে যারা বিদ্যোৎসাহী সদস্য মনোনীত হতে পারেননি তাদের মাঝে কিছু ব্যক্তি অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে বলে দাবি করেন নুরুল আলম।

 

ছাগলনাইয়ায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক (ছাগলনাইয়া)
ছাগলনাইয়ার মহামায়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাজাহান মিনুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (১২ মে) রাতে ফেনী শহরের নাজির রোড এলাকার নিজস্ব মালিকানাধীন ডিসি ভবন থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ছাগলনাইয়া থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, শাহাজাহান মিনু ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে সংঘটিত ছাত্র হত্যাকাণ্ড এবং ২০১৭ সালে ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জ বাজারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

 

 

ছাগলনাইয়া উপজেলা
পল্লী বিদ্যুতের ‘অযৌক্তিক ফি’ বাতিলের দাবিতে গ্রাহক সমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক (ছাগলনাইয়া)
পল্লী বিদ্যুতের চলতি বছরের এপ্রিল মাসের বিল প্রত্যাহারের দাবিতে ছাগলনাইয়ায় গ্রাহক সমাবেশ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১২ মে) বিকেলে ছাগলনাইয়া পৌর শহরের জিরো পয়েন্টে অনুষ্ঠিত গ্রাহক সমাবেশ ও মানববন্ধনে পল্লী বিদ্যুৎ ছাগলনাইয়া জোনাল অফিসের আওতাধীন গ্রাহকরা উপস্থিত ছিলেন।

গ্রাহকদের অভিযোগ, গত মাসের বিল পূর্বের তুলনায় অসামঞ্জস্যপূর্ণ এবং সন্দেহজনক। যেখানে অন্যান্য মাসের সমপরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে সাধারণ বিলের চেয়ে এপ্রিলে বিদ্যুৎ ব্যবহার দেখানো হয়েছে অন্তত ৩গুণ, কোথাও কোথাও ততোধিক।

মানববন্ধনে উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য শরিফুল ইসলাম শিশিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ছাগলনাইয়া শাখার প্রতিনিধি মিরাজ হোসাইন, ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন মজুমদার, ছাত্রনেতা জেবল পোদ্দার, গ্রাহক মোঃ ছাদেক, মোঃ মোস্তফা, আরিফুল ইসলাম মজুমদার প্রমুখ।

মানববন্ধনে ছাত্র প্রতিনিধি এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় উপস্থিত বিক্ষুব্ধ সাধারণ গ্রাহকগণ নিজেদের বিলের কাগজ প্রদর্শন করে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মিরাজ হোসাইন এমন আয়োজনকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ৫ আগস্টের পর জনগণের মাঝে অধিকার আদায়ে রাজপথে নেমে আসার যে ধারা সৃষ্টি হয়েছে সেটি অব্যাহত থাকুক। আগামী কর্মসূচি বিষয়ে এমদাদুল হক বলেন, অনতিবিলম্বে পল্লী বিদ্যুৎ এপ্রিলের প্রশ্নবিদ্ধ বিল বাতিল করে আগামী মাসগুলোর সাথে সমন্বয় করতে হবে। এমন অযৌক্তিক তারতম্যের পেছনে কার কী উদ্দেশ্য সেটি বের করে দোষীদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। যদি গ্রাহকদের দাবি আদায় না হয়, তবে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাসহ কঠোর কর্মসূচিরও হুমকি দেন তিনি।

 

শুরু হল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা
নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশব্যাপী বিজ্ঞান অনুরাগ ও বিজ্ঞান সচেতনতায় সৃজন এবং শিশু-কিশোর ও তরুণদের উদ্ভাবনী কাজে উৎসাহিত করার লক্ষ্য জ্ঞান বিজ্ঞানে করব জয়, সেরা হবো বিশ্বময় প্রতিপাদ্য বিষয় নিয়ে জেলার ৪৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে ফেনীতে শুরু হয়েছে তিনদিনব্যাপী ৪৬তম জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ। আগামীকাল সমাপনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ মেলা শেষ হবে।

গতকাল সোমবার (১২ মে) সকালে মরহুম খাইরুল আনোয়ার পেয়ারু জিমনেসিয়মে আয়োজিত বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। মেলায় ফেনীর ৬ উপজেলা থেকে বিজয়ী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে বিভিন্ন বিজ্ঞান প্রজেক্ট নিয়ে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা। এসময় অতিথিরা শিক্ষার্থীদের তৈরি বিজ্ঞান প্রজেক্টগুলো পরিদর্শণ করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে জেলাপ্রশাসক বলেন, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীদের বিজ্ঞানমনস্ক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিজ্ঞান মেলা খুবই প্রয়োজনীয়। শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী চিন্তায় মনোযোগী হতে হবে। যাতে দেশের উন্নয়নে তারা অবদান রাখতে পারে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) ফাতিমা সুলতানা বলেন, তিনদিনব্যাপী এ আয়োজনে ৪৫ টি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রজেক্ট নিয়ে অংশ নিয়েছে। এরমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে যারা বিজয়ী হয়েছে তারা অংশগ্রহণ করেছে। প্রকল্প মূল্যায়ণ কমিটি প্রকল্প মূল্যায়ণ করবে এবং জেলাপর্যায়ে সেরাদের বাছাই করা হবে। পরবর্তীতে তারা বিভাগীয়পর্যায়ে অংশ নেবে। এছাড়াও শিক্ষার্থীদের জন্য বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড ও কুইজ, ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান জাদুঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাতে তারা বিজ্ঞান বিষয়ে আরও বিস্তরভাবে জানতে পারে।

অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন, জেলা শিক্ষা অফিসার শফী উল্ল্যাহসহ জেলাপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।