মুক্তিযুদ্ধের পরপর সেচব্যবস্থা নিশ্চিতে ফেনী শহরের দক্ষিণে সড়কের দু’পাশে খনন করা হয়েছিল খাজা আহমদ লেক। দাউদপুর হতে লালপোল পর্যন্ত খাল দুইটি জীবিকা ছাড়াও ফেনীর নান্দনিকতার প্রতীক ছিল। কৃষি সম্পর্কিত সুফলা প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ও স্থানীয়দের দাবি, এসব ইতিহাস দেড় দশক আগেই হত্যা করা হয়েছে।
সড়কের পশ্চিমপাশে লেক ভরাট করে পৌরসভার নামে গড়ে তোলা হয়েছে অবৈধ বাজার। কাগজে কলমে ৩১০টি দোকান তৈরির তথ্য থাকলেও এ নিয়ে রয়েছে নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগ। এ সম্পদের মালিক ফেনী জেলা প্রশাসন (১ নম্বর খাস খতিয়ানভুক্ত)। বিভিন্ন সময় লেক ভরাট করে দখলবাণিজ্য প্রকাশ্যে ঘটলেও প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করেছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, সবকিছুই হয়েছে প্রকাশ্যে অথচ নিরপরাধ হয়েও অবৈধ ঘরগুলো ভাড়া নিয়ে প্রতারিত হয়েছেন দোকান ভাড়াটিয়া, বৈধ অস্তিত্ব নেই এসব দোকানঘরের। লেক ভরাট করে ধ্বংস করা হয়েছে প্রকৃতির বৈচিত্র্য।
গতবছরের ২০ আগস্ট হতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ফেনী পৌর প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্বপালন করছে স্থানীয় সরকার ফেনীর উপপরিচালক গোলাম মো. বাতেন। ফেনী পৌরসভার নাম করে বেপরোয়া অবৈধ দখল, দোকানপাট তৈরি এবং ভাড়া উত্তোলন প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় তাঁর কাছে। তিনি বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে অতিরিক্ত দায়িত্বপালন করছি। পূর্বে কী ঘটেছিল তা জানা নেই। তবে, খাজা আহমদ পৌর মার্কেটের ভূমি পৌরসভার নামে নেই, জেলা প্রশাসন হতে বন্দোবস্তের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এবিষয়ে আলোচনা করে কোন কিছু করণীয় হলে তা করব।
ফেনী পৌরসভা হতে প্রাপ্ত কাগজপত্রে দেখা যায়, কতটুকু লেক দখল করে অবৈধ দোকানঘর তৈরি হয়েছে এমন তথ্য নেই। অর্থাৎ, এসব ইচ্ছেমতো তৈরি করা হয়েছে। ঘরগুলো পাঁচটি ব্লকে বিন্যস্ত করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। ঘরগুলোর সেলামী ও ভাড়াও ভিন্ন ভিন্ন।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৪ সাল হতে ২০২০ সালের মধ্যে এই বাজারের শেষ তিনটি ব্লকের স্থানে মাটিভরাট এবং দোকান তৈরি ও ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ২০১৪ সালের জুলাই হতে ২০২১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে ২৯১টি দোকান। এসময় ফেনী পৌরসভার মেয়র ছিলেন হাজী আলাউদ্দিন। খাজা আহমদ লেক প্রথম ভরাট হয় ২০০৬ সালে, তখন পৌরসভা চেয়ারম্যান ছিলেন মরহুম নুরুল আবসার।
ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনাভোটে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ফলে পৌর মেয়রের পদ হতে তাকে সরে যেতে হয়। ২০১৪ সালে উপনির্বাচনের মধ্য দিয়ে পৌর মেয়র হন হাজী আলাউদ্দিন। সেবছরের এপ্রিল মাসে তিনি পৌরসভার মেয়রের দায়িত্বগ্রহণ করেন এবং দ্বিতীয় মেয়াদে ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি মেয়র হিসেবে দায়িত্বপালন করেন।
এর আগে ২০১১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি হতে ২০১৪ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পৌর মেয়র ছিলেন নিজাম উদ্দিন হাজারী। এসময় শুরু হয় অবৈধ দোকান তৈরির কাজ। তাঁর কার্যকালে ১১টি অবৈধ দোকান কাগজেকলমে ৭ লাখ টাকা করে জামানত নিয়ে ভাড়া দেওয়া হয়। এছাড়া ২০২২ সালে ৪টি দোকান ভাড়া দেওয়া হয়। এসময় মেয়র ছিলেন নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, মোট পাঁচটি ব্লকে ৩১০টি দোকানঘর ভাড়া দিয়ে ফেনী পৌরসভা কাগজে-কলমে আদায় করেছে ১৫ কোটি ১৩ লাখ ১০ হাজার টাকা। এর নাম দেওয়া হয়েছে দাউদপুর খাজা আহমদ পৌর মার্কেট।
এ ব্লকে ১৪টি দোকানঘর ২০১৬ সালের জুলাই মাস হতে ২০১৭ সালের এপ্রিল মাসের মধ্যে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে কাগজেকলমে ৩ লাখ টাকা করে ৪২ লাখ টাকা জামানত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও দুইটি দোকানঘর ৩০ হাজার করে ৬০ হাজার টাকা জামানত হিসেবে ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই মার্কেটের বি ব্লকে ৬০টি দোকানঘরের মধ্যে ২০টি ঘর ৭ লাখ টাকা জামানত হিসেবে মোট ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, ৩৬টি দোকানঘর ৫ লাখ করে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা জামানত ফেনী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে। এছাড়া একটি দোকানঘরের জামানত ৪ লাখ টাকা এবং বাকী ৩ ঘরের জামানত নেওয়া হয়েছে দেড় লাখ টাকা করে সাড়ে ৪ লাখ টাকা। দোকানঘরগুলো ২০১৩ সালের মে মাস থেকে ২০১৫ সালের জুন মাসের মধ্যে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। তবে, জামানত দেড় লাখ টাকা করে তিনটি ঘর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
সি ব্লকে ৫৬টি দোকানঘর ৫ লাখ টাকা জামানত হিসেবে ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা নেওয়া হয়েছে। ঘরগুলোর মধ্যে ৩৮টি ২০২০ সালের মে মাসে ভাড়া দেওয়া হয়েছে এবং বাকী ১৮টি ২০১৭ সালের এপ্রিল হতে জুন মাসের মধ্যে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।
একই মার্কেটের ডি ব্লকে ১১৭টি দোকানঘরের সিংহভাগ ২০১৭ সালে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বাকীগুলো ২০১৮ সাল হতে ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। ভাড়াটিয়াদের কাছ থেকে জামানত আদায় করা হয়েছে ৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। একইভাবে, ই ব্লকে ৬১ দোকানঘর ভাড়াটিয়া হতে জামানত নেওয়া হয়েছে ৩ কোটি ৫ লাখ টাকা। এ ঘরগুলোর অধিকাংশই ভাড়া দেওয়া হয়েছে ২০১৭ সালে।
যেভাবে দখল হল খাজা আহমদ লেক
দীর্ঘদিন ধরে দেখেছেন এমন, কৃষি সম্পৃক্ত ব্যক্তি ও রাজনীতিবিদদের মতে, খাজা আহমদ লেক দখলের ইতিহাস অম্লমধুর। এটি একাধারে ভরাট করা হয়নি। গত ২০ বছরে স্বচ্ছ টলমলে জলেভরা খাজা আহমদ লেক এখন ৩শতাধিক অবৈধ অর্ধপাকা দোকানের মার্কেট। অবৈধ দখলের পর দোকান নির্মাণ ও ভাড়া দেওয়া হলেও ভূমি পৌরসভার বৈধ মালিকানায় নেই। ফলে অনিরাপদ হয়ে গেছে ভাড়াটিয়াদের সেলামীর ১৫ কোটি টাকা।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ১৯৯৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর ফেনী পৌরসভা প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর হতে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণে ভূমি প্রসঙ্গে একটি পত্রপ্রাপ্ত হয়। ১৯৯৫ সালের ৯ জুলাই বন্দোবস্তের পরিকল্পনায় একটি পত্র প্রস্তুত করা হয়। এখানেই থেমে যায় লেক হতে ভূমি বের করে ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণের চেষ্টা।
২০০৫ সালের ১২ মে ফেনী পৌরসভার নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন নুরুল আবসার। ন্যায়নিষ্ঠা ও অভূতপূর্ব কর্মতৎপরতার জন্য সমাদৃত এই জনপ্রতিনিধির সময় ২০০৬ সালে প্রথম খাজা আহমদ লেকের কিছু অংশ ভরাট হয়। বর্তমানে অবৈধ মার্কেটের পাশে নির্মিত মসজিদটিও সেসময় নির্মাণ করা হয়। এ প্রসঙ্গে প্রতিবেদকের সাথে কথা হয় সেই পৌর পরিষদের একাধিক কমিশনারের সাথে। তারা জানান, তরকারি বাজারের জন্য ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে খাজা আহমদ লেকের পাশে কিছু জায়গা জেলা প্রশাসনের কাছে বরাদ্দ চান তিনি। এ নিয়ে কাজও এগিয়েছিল। লেকের ২শ ফুটের মতো ভরাট করা হলেও গড়ে তোলা হয়নি দোকানপাট।
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ২০০৬ সালের ১১ জুলাই যথাক্রমে ৩ দশমিক ৩৮ একর, ১ দশমিক ৯৫ একর এবং ১ দশমিক ৩৮ একর ভূমি বন্দোবস্ত চেয়ে জেলা প্রশাসককে চিঠি দেন নুরুল আবসার। পরবর্তীতে বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজ শেষে সেবছর ১১ অক্টোবর তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা ধরে ৩ দশমিক ৭৩ একর ভূমি (লেকসহ) ফেনী পৌরসভাকে দীর্ঘমেয়াদী বন্দোবস্ত দেওয়ার জন্য ভূমি মন্ত্রণালয়কে পত্র দেন।
এ প্রসঙ্গে নুরুল আবসারের পৌর পরিষদের একজন সদস্য দাবি করেন, ভূমিটি নিশ্চিত পাচ্ছেন জেনে তিনি কিছু অংশ মাটিভরাট করেছিলেন। তবে, সাড়ে ৬ কোটি টাকা সংস্থান সহজ হবে না ভেবে তিনি ভূমি মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেননি। তাঁর ধারণা ছিল নামমাত্র মূল্যে বন্দোবস্ত মিলবে।
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নিজাম উদ্দিন হাজারী ফেনী পৌরসভা মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর কিছু দোকান নির্মাণ হয়। ভরাটকৃত স্থানে ততদিনে অস্থায়ীভাবে ট্রাক টার্মিনাল গড়ে উঠলেও সেখানে দোকান তৈরি হতে থাকে। তবে, একাধিক আড়তদার জানান, তরকারি আড়ত সেখানে স্থানান্তর হয় ২০১৫ সালে।
নুরুল আবসারের পরবর্তী একদশকে ভূমি বন্দোবস্ত পাওয়ার চেষ্টা করেনি ফেনী পৌরসভা। ২০১৪ সাল হতে নির্বিচারে চলেছে খাজা আহমদ লেক দখল এবং ইচ্ছেমতো দোকান তৈরি। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কের কেবল পশ্চিমপাশই নয়, পূর্বপাশে লেকের একাধিকস্থানে খণ্ডখণ্ডভাবে দখলের উদ্দেশ্যে ভরাট করা হয়েছে। তবে, এ দায় ফেনী পৌর কর্তৃপক্ষ নেয়নি।
প্রাপ্ত একটি তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৬ সালের ১ আগস্ট জেলা প্রশাসক ফের ৩ দশমিক ৭৩ একর ভূমি পৌরসভাকে বন্দোবস্ত দিতে ভূমি মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দেন। তবে এরপর কী হয়েছে তা অজানা থেকে গেছে।
নীরব ছিল জেলা প্রশাসন
প্রায় শতবর্ষপূর্বে প্রকাশিত মক্রম বিল্লাহ চৌধুরী ও তত্ত্ববোধিনী সোম যৌথলেখায় ফেনীর ইতিহাস সম্পর্কিত একটি বইতে এ জেলায় ১৩টি বিলের অস্তিত্বের কথা বলা হলেও এখন খুঁজে পাওয়া যায় না। কাগজে উল্লিখিত ১৮১টি খালের অস্তিত্ব এখন আর নেই। হারিয়ে গেছে খাজা আহমদ লেকের সৌন্দর্য, দ্বৈত খালটির একটি অবৈধ দখল হয়েছে গত দুই দশকে। শহরের মধ্যেই জেলা প্রশাসনের এ খাল দখল হয়েছে, ভরাট হয়েছে প্রকাশ্যে। অথচ কখনোই ফেনী জেলা প্রশাসকের চেয়ার খালি ছিল না।
২০০৬ সালে খাজা আহমদ লেকের কিছু অংশ প্রথমবার ভরাটের সময় ফেনী জেলা প্রশাসক ছিলেন মির আহমদ। তিনি দায়িত্বপালন করেন ২০০৫ সালের ২ এপ্রিল হতে ২০০৬ সালে ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত। ২০ নভেম্বর জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করেন মাছুম খান। এসময় পৌরসভাকে ভূমি বন্দোবস্ত দেওয়ার কার্যক্রম সম্পন্ন না হলেও খাল ভরাটে বাধা দেওয়ার তথ্য খুঁজে পায়নি প্রতিবেদক।
২০১৪ সালে নির্বিচারে খাজা আহমদ লেক দখলের সময় জেলা প্রশাসক ছিলেন মোঃ হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। তিনি ২০১২ সালের ৩১ মে ফেনী জেলা প্রশাসক হিসেবে যোগদান করে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দায়িত্বপালন করেন। এরপর মোঃ আমিনুল আহসান স্বল্পসময়ের জন্য জেলা প্রশাসক থাকার পর ২০১৭ সালের ১০ মে জেলা প্রশাসক হন মনোজ কুমার রায়। ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট ফেনী জেলা প্রশাসক হিসেবে আসেন মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান। তিনি প্রায় তিন বছর ফেনীতে দায়িত্বপালনশেষে ২০২১ সালের ২২ জুন বিদায় নেন। এসময় খাজা আহমদ লেক উদ্ধার হয়নি।
জেলা প্রশাসনের ভূমি (লেক) অবৈধ দখল প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, এটি ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমি কিনা জানা নেই। এ সংক্রান্ত বিদ্যমান বিধি-বিধান ও সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা কাজ করব।
ব্যয় দেখানো হয়েছে ১১ কোটি টাকা
খাজ আহমদ লেক অবৈধভাবে দখল, ভরাট ও দোকান নির্মাণের পর নাম দেওয়া হয়েছে খাজা আহমদ ট্রাক টার্মিনাল মার্কেট। ২০১৪ সাল হতে এই মার্কেটের নানাকাজে ব্যয় দেখানো হয়েছে ১১ কোটি ৮ লাখ ২১ হাজার ৭৭৬ টাকা।
ব্যয় সংক্রান্ত প্রাপ্ত কাগজপত্রে দেখা গেছে, ড্রেন, মাটি ও বালু ভরাট, অর্ধপাকা দোকান নির্মাণসহ অনুসঙ্গ কাজে ১৪ প্যাকেজে উক্ত ব্যয় দেখানো হয়েছে। হিসাবে অপরিশোধিত ব্যয় দেখানো হয়েছে ৫২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৯ টাকা।
ব্যয়ের হিসাবে দেখা গেছে ১৪ প্যাকেজের মধ্যে একজন পেয়েছেন ৬ প্যাকেজের কার্যাদেশ, আরেকজন পেয়েছেন ৫টি প্যাকেজের কার্যাদেশ।