ফেনী নদীর ছাগলনাইয়ার শুভপুর ও ঘোপাল অংশে প্রশাসনের কঠোর নজরদারি ও দফায় দফায় অভিযানেও বন্ধ হচ্ছে না ফেনী নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন। অবৈধভাবে নদীর দুই পারের চর কেটে বালু উত্তোলনের ফলে ছোট্ট ফেনী নদীর কিছু কিছু স্থানে সৃষ্টি হয়ে আরেকটি নদী। অবাধে বালু উত্তোলনে এ নদীর এপার থেকে ওপারে অস্তিত্ব খালি চোখে অনুমান করাও দুষ্কর হয়ে পড়েছে। দীর্ঘ সময় ফেনী নদীর ছাগলনাইয়া অংশের শুভপুর ও ঘোপাল ইউনিয়নের বেশ কিছু চর ও ফসলি জমি কেটে বালু উত্তোলনের ফলে শত শত একর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। একই চিত্র ফেনী নদীর মিরসরাই অংশেও। শুভপুর ও ঘোপাল অংশে কিছুদিন বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও মিরসরাই অংশে বালু উত্তোলন চলছে। ফলে সেখানকার প্রধান সড়কগুলোও এখন চরম হুমকির মুখে রয়েছে। বালু উত্তোলনের ফলে শুভপুরে সরকারের আশ্রয়ণ প্রকল্প চরম হুমকির মুখে রয়েছে দিনে রাতে অসংখ্য ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলনের ফলে ফেনী নদীর দুই পারে বাসিন্দাদের আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত সরকারের সময় যেমনভাবে বালু উত্তোলন করে আমাদের ক্ষতি সাধন করেছে বর্তমানেও তা অব্যহত রয়েছে। তাদের অভিযোগ, টানা বালু উত্তোলনের কারনে দুই পারের বসতিরা বাড়ীঘর হারানোর পাশাপাশি এ নদী সাগরে রূপ নিবে।
সম্প্রতি ছাগলনাইয়ার ঘোপাল ইউনিয়নের দক্ষিণ লাঙ্গলমোড়ায় ফেনী নদী থেকে দিনের বেলায় একসাথে অসংখ্য ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলনের দৃশ্য দেখা গেছে। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন কৃষক জানায়, আগে আওয়ামী লীগের লোকজন বালু উত্তোলন করেছে এখন বিএনপির লোকজন। দক্ষিণ লাঙ্গলমোড়ার নদী তীরের বাসিন্দাদের অভিযোগ, বালু উত্তোলনের কারণে যেকোন সময় আমাদের ঘরবাড়ি হারিয়ে যাবে।
স্থানীয়রা জানান, বালু উত্তোলনের বিষয়ে গণমাধ্যমে কোন সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রশাসনের তৎপরতায় কিছুক্ষণ বালু উত্তোলন বন্ধ থাকে। প্রশাসনের লোকজন চলে গেলে ফের শুরু হয় বালু উত্তোলন। ফেনী নদীর দুইপার থেকে স্থায়ীভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার দাবি স্থানীয়দের।