সোনাগাজীতে লায়লী আক্তার তানিয়া (২৫) নামে প্রবাসীর স্ত্রীকে হত্যা মামলার পলাতক আসামি নুর আফছার রনিকে (২৫) রামগড়ের পাতাছড়া এলাকা গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তানিয়ার সাথে নিজের পরকীয়ার সম্পর্কের কথা স্বীকার জানিয়েছে, অন্য আরেক পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা ও প্রেমে প্রতারিত হওয়ায় তানিয়াকে গলাটিপে হত্যা করেছে সে। রনি সোনাগাজীর দক্ষিণ চর খোয়াজ গ্রামের ছেলামত সওদাগরের নতুন বাড়ি নুর উদ্দিনের ছেলে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারায় রনির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বায়েজীদ আকন। তিনি জানান, গত সোমবার রাতে রনিকে রামগড়ের পাতাছড়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করে পুলিশ। সেখানে জবানবন্দী শেষে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছরের বেশি সময় ধরে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে রনির পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল ও বিয়ের পরিকল্পনা ছিল। এ সম্পর্কের কারণে রনির স্ত্রী শিশু সন্তানকে নিয়ে তাকে ছেড়ে গেছে। একই সঙ্গে রনি নামে আরেক প্রবাসী যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্কের ব্যাপারে জানতে পেরে দুইজনের মধ্যে দ্বিমত তৈরি হয়। শনিবার রাতে তানিয়ার জন্য জিলাপি নিয়ে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম তুলাতলীতে ভাড়া বাসা রনি। তখন রনি নামে প্রবাসী ওই যুবকের সাথে তানিয়াকে ভিডিও কলে কথা বলতে দেখে তার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেয়। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হলে রনি ক্ষিপ্ত হয়ে তানিয়ার গলাটিপে ও পরে ওড়না-গামছা গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করে। হত্যার পর রনি তানিয়র মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
থানার ওসি জানান, গ্রেপ্তারের পর রনির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী হত্যাকাণ্ডের দিন বাসায় আনা জিলাপি উদ্ধার করা হয়েছে।
গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খবর পেয়ে পশ্চিম তুলাতলীর ভাড়া বাসা থেকে তানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে থানায় হত্যার অভিযোগে মামলা করেন।