ঘটনার দেড় মাস হতে চললেও এখনও ধরা পড়েনি ফেনী শহরতলীর কালীপালে ভূইয়া ডেইরি ফার্মের কর্মচারী মো. ইয়াছিন সোহাগ (২৪) নামে খামার কর্মচারীকে হত্যার মূলহোতারা। এ ঘটনায় জড়িত ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হলেও এ হত্যাকান্ডের মূলহোতারা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। তাদের গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬ ডাকাত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দেয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জানান, এ ঘটনায় কুমিল্লাসহ জেলাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে তা এখন প্রকাশ করা যাচ্ছে না। ওসি আরও জানান, শীঘ্রই এ হত্যায় জড়িত মূলহোতারা পুলিশের হাতে ধরা পড়বে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর দিবাগত রাতে ফেনী শহরতলীর কালিপালে ভূইয়া ডেইরি ফার্মে ঢুকে পিকআপ করে ৩টি গরু লুট করে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এসময় বাধা দিলে মো. ইয়াছিন সোহাগ (২৪) নামে খামারের এক কর্মচারীকে তারা কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় তারা। নিহত সোহাগ ময়মনসিংহের গৌরিপুরের আবদুস সামাদের ছেলে। এ ঘটনার পরদিন খামার মালিক মো. মামুন উদ্দিন ভূঞা বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন জানান, এ মামলায় ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো পুলিশ যাচাই-বাছাই করছে।
খামারি মালিক মামুন উদ্দিন জানান, বন্যায় খামারে একটি গরু মারা গিয়েছে, কিছুদিন আগে আরও একটি গরু চুরি হয়েছে। ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য খামারে ১০টি নতুন গরু লালন শুরু করেন। ওইদিন রাতে খামার কর্মচারী সোহাগকে হত্যা করে ৩টি গরু লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। লুট করার গরুর মূল্য হবে মোট ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
একই রাতে দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নে কর্মচারীকে বেঁধে একটি গরুর খামার থেকে ৯টি গরু চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।