ফেনীতে ডায়াবেটিস রোগী শনাক্তের সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২৫ জন ব্যক্তির ডায়াবেটিস শনাক্ত হচ্ছে। এমন তথ্য মিলেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হতে প্রাপ্ত তথ্যে। তবে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলেন আশঙ্ক করছেন হাসপাতালে কর্মরত একাধিক ব্যক্তি। তারা বলেন, সেবা নিতে এলেও ভয় পাওয়ার কারণে অনেকে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন না। এর ফলে অনেকের শরীরে ডায়াবেটিস থাকলেও তারা রেজিস্ট্রারে অন্তর্ভুক্ত হয় না।
ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতাল থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, গড়ে প্রতিদিন ২৫ জন রোগী নতুন নিবন্ধিত হয়। সে হিসেবে বছরে প্রায় ৯ হাজারের বেশি রোগী নিবন্ধিত হয়।
ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতাল হতে প্রাপ্ত অনুযায়ী, হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার ৩১ বছরে নিবন্ধিত ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৩০ হাজার। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এখন পর্যন্ত নিবন্ধনকৃত ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ৪৬ হাজার। এর মধ্যে পুরুষ ৭০ হাজার এবং মহিলা ৭৬ হাজার। অর্থাৎ ২ বছরে ডায়াবেটিস রোগী বেড়েছে ১৬ হাজার।
ডায়াবেটিস হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান, হাসপাতালে ১০ জন কনসালটেন্ট ও ৩৫ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়মিত সেবা দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৪০০ জন রোগী সেবা নেয়। গড়ে প্রতিদিনের রোগী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ফেনী জেলা অনুযায়ী এ সংখ্যা অনেক কম।
ফেনী ডায়াবেটিস হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগে. জে. ডা. খান মো. আসাদুল্লা হেল গালিব (অব.) বলেন, ডায়াবেটিস সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নানামুখী উদ্যোগ সবসময়ই গ্রহণ করে। ফ্রি চিকিৎসা সেবা, মেডিকেল ক্যাম্প আয়োজন করে। হাসাপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৪৫০ জন রোগী সেবা নিতে আসে।
ডায়াবেটিস সচেতনতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, টাইপ-১ ডায়াবেটিস হলে ইনসুলিন গ্রহণ করতেই হয়। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে সচেতনতাই পারে ডায়াবেটিস মুক্ত থাকতে পারে মানুষ। মানুষ তার দৈনন্দিন জীবনে যদি কিছু পরিবর্তন আনতে পারে নিয়মিত হাঁটাচলা, ব্যায়ামের পাশাপাশি কার্ব হাইড্রেড থেকে বিরত রাখতে পারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। যার জন্য মিস্টি জাতীয় খাবার কম খাওয়াই উত্তম।