গত ৮ বছর আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুর এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন ফেনী পৌরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড মধুপুরের পিকআপ চালক একরাম হোসেন(৩৩)। ফেনী শহর থেকে পিকআপ নিয়ে রামপুর রাস্তায় মাথায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন একরাম। দুর্ঘটনায় তার ঘাড়ের হাড় ভেঙ্গে যায়। ওইসময় মানুষের সহযোগিতায় কিছুটা চিকিৎসা করালেও বর্তমানে টাকার অভাবে তা বন্ধ রয়েছে। একরাম জানান, সম্পূর্ণ সুস্থ হতে অনেক টাকার দরকার। চিকিৎসার এত ব্যয়ভার বহনের সামর্থ্য নেই তার। স্ত্রী ও দুই ছেলেসহ পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে সংসারের খচর চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। এর কারণে চিকিৎসার খরচ চালিয়ে যেতে পারছেন না। তিনি জানান, দুর্ঘটনায় আহত হলেও তিনি সরকারি বা বেসরকারি কোন প্রকার সহযোগিতা এখনও পাননি। পুরোপুরি চিকিৎসা করাতে বিপুল অর্থের প্রয়োজন। তার চিকিৎসার সহায়তার জন্য কেউ এগিয়ে এলে তিনি কৃতজ্ঞ থাকবেন। সম্পূর্ণ সুস্থ হলে তিনি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন।

একরাম মধুপুরের মো. সামছুল হকের ছেলে। ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মনির আহম্মদ বাচ্চু জানান, এলাকাবাসীর সহযোগিতায় একরামের চিকিৎসা খরচ চালানো হয়েছে। গত কয়েকদিন আগেও তাকে অর্থ দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে চিৎিসার জন্য পাঠিয়েছি। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন একরাম পুরোপুরিভাবে সুস্থ হতে হলে অনেক অর্থের প্রয়োজন। এজন্য প্রশাসন ও বিত্তবানদের এগিয়ে আসতে হবে।