শহরতলীর কালিপালে বিজয়া দশমী ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব। গতকাল রোববার (১৩ অক্টোবর) জেলায় সর্বমোট ১৪৬টি প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র।

গতকাল বিজয়া দশমীর দিন সকাল হতে পূজামণ্ডপে দেবীর মুখে পান পাতা আর সিঁদুর ছুঁইয়ে মিষ্টিমুখ করিয়ে শুরু হয় বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা। বেলা ৩টা হতে শহরতলীর কালিপালের দশমী ঘাটে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে বিসর্জন অনুষ্ঠানের আয়োজন শুরু হয়। ট্রাক ও পিকআপে করে শোভাযাত্রার মাধ্যমে দেবীকে বিদায় জানাতে দলে দলে জড়ো হন ভক্ত ও অনুসারীরা। প্রতিমা ঘাটে নেবার পর ভক্তরা ধুপ-ধুনো দিয়ে আরতি করেন। এরপর পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে শুরু হয় বিসর্জনের পালা।

দুর্গা বিসর্জনকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা দিতে নিয়োজিত ছিল সেনাবাহিনী, পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল পরিমাণ সদস্য।

বিজয়া দশমীর আনুষ্ঠানিকতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান, সেনাবাহিনীর ফেনী ক্যাম্প কমান্ডার লে. কর্ণেল কামরুল হাসান ও পৌরসভা প্রশাসক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন।

শুভেচ্ছা বিনিময়কালে জেলা প্রশাসক বলেন, ফেনী সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা ছাড়া ফেনীতে পূজা সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের ভ্রাতৃত্বের বন্ধন ধরে রাখতে হবে।

পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল পূজাকে কেন্দ্র করে। ফেনীর শারদীয় দুর্গোৎসব ঝাঁকজমকপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।

ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) হীরা লাল চক্রবর্তী পূজায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, রাজনৈতিক দল ও ছাত্র প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান।