পরশুরামের ৭ টি মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। পূজামন্ডপের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, আনসারের পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তায় রয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ৭ টি পূজা মন্ডপ রয়েছে। এরমধ্যে পরশুরাম বাজারে শ্রী শ্রী মা মাঁতঙ্গী দেবী মন্দির, দক্ষিণ কোলাপাড়ায় শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মন্দির, বেড়াবাড়ীয়ায় শ্রী শ্রী রক্ষা কালী মন্দির, গুথুমার সাহাপাড়ায় শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির, খন্ডল হাই বাজারে শ্রী শ্রী দক্ষিণেশ্বরী কালী মন্দির, উত্তর তালবাড়িয়া শ্রী শ্রী দূর্গা মন্দির ও অনন্তপুরে শ্রী শ্রী হরি ঠাকুর মন্দিরে একযোগে দূর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) রাতে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আতাহার হোসেন পাপরুল ও সদস্য সচিব কামরুল হাসান বাবুর নেতৃত্ব বিভিন্ন পূজামন্ডপ পরিদর্শন করেন। এসময় তারা নিরাপত্তায় নিয়োজিত নেতাকর্মীদের সাথে সাক্ষাৎ করে দিকনির্দেশনা দেন।
আতাহার হোসেন পাপরুল জানান, বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে ও ফেনী ১ আসনের সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু'র পক্ষ থেকে দুর্গাপূজায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছে। প্রতিটি মন্দিরে ২৪ জন করে ছাত্রদলের নেতাকর্মী মন্দিরের নিরাপত্তায় থাকবে।
এসময় পৌর ছাত্রদলের আহবায়ক সাফায়েত এনাম মজুমদার, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদুর রহমান, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাদ্দাম হোসেন, পৌর যুবদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন ইসলাম, মো. নাজিম পাটোয়ারী, মো. আতিকুর রহমান মজুমদার সৌরব, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন সম্পাদক মিলন খান, কলেজ ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক দিদার, ছাত্রনেতা মাসুদ, মিদুল, আরিফ, মিনহাজ, মোবারক, আলামিন, জাহিদ, রাজনসহ উপজেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব সাহা বলেন, হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টান সবাই আমরা ভাই ভাই। আবহমানকাল থেকে আমরা পূজা পার্বণ পালন করে আসছি। সব সময় সবাই আমাদের সহযোগিতা করেছে। ছাত্রদলের এ উদ্যোগকে বলেন,ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষায় তরুণদের স্বাগত জানাই।