ফুলগাজীতে সংবাদ সংগ্রহে যাওয়ায় স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক ফেনী'র প্রতিবেদক সাজ্জাদ রাকিবের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করা হয়েছে। উপজেলার আমজাদহাটের ধর্মপুর এডুকেশনাল এস্টেটের কারিগরি শাখার ট্রেড ইন্সট্রাক্টর সাইফ উদ্দিন ও তার মা ফেরদৌস আরা বাদী হয়ে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।

গত ১৭ সেপ্টেম্বর ফুলগাজী আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমা তুজ জোহরা মুনার আদালতে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। পরে আদালত মামলা আমলে নিয়ে পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

পৃথক মামলায় অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, আমজাদহাটের ধর্মপুর এডুকেশনাল এস্টেট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জসিম উদ্দিনের অনিয়ম-দুর্নীতির ব্যাপারে পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গত ৩ সেপ্টেম্বর কারিগরি শাখার ট্রেড ইন্সট্রাক্টর সাইফ উদ্দিন একটি অভিযোগ করেন। তারই প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষক ১৫ সেপ্টেম্বর এ ব্যাপারে একটি জরুরি সভার আয়োজন করে। যেখানে একপর্যায়ে সাইফ উদ্দিনকে মারধর করা হয়। পরে তার মা ফেরদৌস আরা ছেলের কাছে যেতে চাইলে পথিমধ্যে আসামিরা তার চুলের মুঠি ধরে মারধর করতে করতে রাস্তায় শোয়াই ফেলে। এ ঘটনায় আসামি হিসেবে একটি মামলায় ৮ জন ও অন্যটিতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মামলার আসামি সাজ্জাদ রাকিব বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর ধর্মপুর এডুকেশনাল এষ্টেটের কয়েকজন ছাত্র আমার ইনবক্সে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের দুর্নীতি-অনিয়মের একটি পোস্টার পাঠিয়ে এ ব্যাপারে সংবাদ প্রকাশের জন্য অনুরোধ করেন। পরেরদিন সকাল ১০টায় এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য বিদ্যালয়ে যাই। তখন বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা চলছিল। পরে সভায় অংশ নিয়ে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের দুর্নীতি-অনিয়মের পোস্টার তৈরিকারী শিক্ষক সাইফ উদ্দিনের কাছে পোস্টারে উল্লেখিত অভিযোগের প্রমাণপত্রসহ তথ্যাদি চাই। একপর্যায়ে সাইফ উদ্দিন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের কোন প্রমাণপত্র দেখাতে না পেরে উল্টো আমার ওপর ক্ষুব্ধ হন।

সাজ্জাদ রাকিব বলেন, এ সংবাদ ঠেকাতে প্রতিষ্ঠানের সহকারী শিক্ষক আবদুল লতিফ খন্দকার, মাস্টার শহীদ উল্লাহ, সাইফ উদ্দিন, জয়নাল আবেদীন, কহিনূরসহ আরো কয়েকজন অসাধু শিক্ষক ষড়যন্ত্র শুরু করেন। পরবর্তীতে সাইফ উদ্দিন ও তার মাকে দিয়ে দুইটি মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

এ ব্যাপারে ফুলগাজী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, আদালত থেকে আদেশ পেয়ে পুলিশ মামলার তদন্ত কাজ শুরু করেছে। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকলে কাউকেই হয়রানি করা হবে না। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।