স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার পর ফের কর্মজীবনে ফিরছে মানুষ। আগস্ট মাসের শেষ ১০ দিন বন্যার প্রকোপে ফেনীর কৃষি, ঘরবাড়িসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এখনো জনপদে স্পষ্ট। এখন চলছে পুনর্বাসনের কাজ।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে এসে এবং স্থানীয়দের মতামত অনুযায়ী বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনে বেসরকারি উদ্যোগ ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে, ক্ষতিগ্রস্ত ঘর সংস্কার, পুনঃনির্মাণে সরকারি সহায়তা এখনো দৃশ্যমান হয়নি। এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন খাতে পুনর্বাসনের চিত্র উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে।

বন্যা প্রসঙ্গে ইতোপূর্বে জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার জানান, বন্যায় ২৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। জেলায় ১১ লাখের অধিক মানুষ এবং ৯৫ শতাংশ এলাকা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছিল। বন্যাদুর্গতদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে বন্যার্তদের জন্য ২ হাজার ৩শ টন চাল, ৮২ লাখ টাকা, ৬ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং শিশুখাদ্যের জন্য ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

উল্লেখ্য, প্রবল বৃষ্টি এবং ভারত হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে ১৯ আগস্ট রাতে ডুবতে শুরু করে ফেনীর উত্তরাঞ্চল। এরপর ১০দিনে বন্যায় ফেনী জেলা বন্যায় নিমজ্জিত হয়।


বন্যায় মৃত্যু ২৯
ফেনীতে ভয়াবহ বন্যায় নিহতের সংখ্যা ২৯। মৃতদের মধ্যে ১৭ জন পুরুষ, ৮ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে। তাদের মধ্যে ২০ জনের পরিচয় মিলেছে। বাকী ৯ জনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসন সূত্র তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছে।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, মৃত ওই ২৯ জনের মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় অজ্ঞাত ৪ জন, সোনাগাজী ৪ জন এবং ছাগলনাইয়া উপজেলায় অজ্ঞাত একজনের মৃত্যু হয়েছে। ২৯ জন নিহতের মধ্যে ফেনী সদরে ৮ জন, দাগনভূঞায় ৩ জন, ফুলগাজীতে ৭ জন, সোনাগাজীতে ৬ জন, ছাগলনাইয়ায় ৩ জন এবং পরশুরামের ২ জন ব্যক্তি রয়েছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, নিহতদের পরিবারকে মানবিক সহায়তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলে সেসব পরিবারকে সহায়তা দেওয়া হবে।



ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ও সহায়তা
জেলা প্রশাসন হতে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, জেলায় ৮ হাজার ৯৫টি কাঁচাঘর, ২৫০টি আধাপাকা ঘর বন্যায় সম্পূর্ণ ধ্বসে গিয়ে আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে ১৬৩ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ৫৩ হাজার ৪৩৩টি কাঁচাঘর এবং ২ হাজার ৬৩২টি আধাপাকা ঘরের আংশিক ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ ৩৭০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৬৪ হাজার ৪১৫টি ঘরবাড়িতে মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া ৫৪টি মসজিদ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মোট ৬ কোটি ৯১ লাখ ৬০ হাজার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা হয়েছে। এছাড়া ১৪৪টি মন্দিরে ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সহায়তায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে ২০ হাজার বান্ডেল টিন এবং নগদ ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এছাড়া বেসরকারিভাবে যেসব প্রতিষ্ঠান এবং সংগঠন পুনর্বাসনে সহায়তায় এগিয়ে এসেছে তাদের কাজগুলো সমন্বয় করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসনের ত্রাণ ও পুনর্বাসন শাখা সূত্র জানায়, ইউএনডিপি ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩ হাজার পরিবারকে ঘর সংস্কারে সহায়তা করতে এগিয়ে এসেছে। একইভাবে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ইপসা ২ কোটি ৫৩ লাখ টাকা, রিক ৮৯ লাখ টাকা এবং মাস্তুল ফাউন্ডেশন ১১ লাখ টাকা বসতঘর সংস্কারে সহায়তা দিচ্ছে। জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সংস্কার কাজগুলো বাস্তবায়ন হবে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এগিয়ে আসার অভূতপূর্ব নজির দেখা গেছে। ঘুরে দাঁড়াবে ফেনী শীর্ষক একটি সংগঠন এপর্যন্ত ১৩টি পরিবারকে নতুন ঘর এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘর সংস্কার করে দিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংগঠক শরীফুল ইসলাম অপু। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে ৩৮ পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যাচ সদস্য শামছুউদ্দৌলা। স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীরা জানান, এমন সহায়তার তালিকা দীর্ঘ।


কৃষিখাতে ক্ষতি ও পুনর্বাসন
ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জেলা প্রশাসনের প্রস্তুতকৃত হিসেবে সর্বোচ্চ ক্ষতি নিরূপিত হয়েছে শস্য, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের। উক্ত খাতগুলোতে মোট ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০ কোটি ৭২ লাখ ১৪ হাজার ৩৯ টাকা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ফেনী সূত্র জানায়, চলতি আমন ধানের মৌসুমে ফেনীতে ৩৮ হাজার ৮৭ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছিল। এবারের বন্যায় ৩৪ হাজার ৭৭ হেক্টর জমির আবাদ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাকী আবাদও আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপপরিচালক মো. একরাম উদ্দিন জানান, জেলায় ১ লাখ ৬৬ হাজার ৭৯০ পরিবারের ক্ষতি হয়েছে ৫২৪ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। কৃষকদের ঘুরে দাঁড়াতে প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে বিনামূল্যে সার, ১২টি ফসলের বীজ এবং অন্যান্য ব্যয়ের জন্য ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৪শ টাকা মন্ত্রণালয় হতে মঞ্জুরীর আদেশ পাওয়া গেছে। ধাপে ধাপে কৃষকদের সহায়তা প্রদান করা হবে। এছাড়া খরিপ-২ মৌসুমে পুনর্বাসন কর্মসূচির আওতায় ২৩ হাজার কৃষক পরিবারের জন্য শীতকালীন সবজি বীজ ও নগদ টাকা বাবদ ৩ কোটি ৫০ লাখ ২৯ হাজার টাকা মঞ্জুরী আদেশ পাওয়া গেছে।

জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের বরাত দিয়ে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ২ হাজার ১৬৪ ভেড়া, ১১ হাজার ৪৮৭ ছাগল, ৩০ হাজার ৬৫০টি গরু, ১৯৪টি মহিষ, ৫৭ লাখ ২১ হাজার ৩০১টি মুরগি এবং ১ লাখ ৬৭ হাজার ২৭৭টি হাঁস বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। ভেসে গেছে ৪ হাজার ৬৬৫ হেক্টর মাছের ঘের। সবমিলে বন্যায় প্রাণি ও মৎসে আনুমানিক ক্ষতি ৫৭৫ কোটি টাকা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোজাম্মেল হক জানান, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চাহিদা প্রেরণ করা হয়েছে।



সড়কে ক্ষতি ও সংস্কার
সড়ক বিভাগ, স্থানীয় সরকার, প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) ফেনীর তথ্যানুযায়ী সড়ক, ব্রিজ ও কালভার্ট, নদীর তীরে বাঁধ ভেঙে ক্ষতি হয়েছে ৯২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৮ টাকা। ফুলগাজীতে গ্রামীন সড়কে সর্বাধিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে এলজিইডি সূত্র।

সড়ক সংস্কারে কাজ চলমান জানিয়েছেন সড়ক বিভাগ ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী বিনয় কুমার পাল। তিনি জানান, আরও বরাদ্দ পেতে চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে দেওয়া হয়েছে। এলজিইডি ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী মাহমুদ আল ফারুক জানান, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে গ্রামীণ সড়ক সংস্কারের কাজ চলছে।


শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষতি ও সংস্কার
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কার্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয়ের তথ্যমতে ৯২০ স্কুল, মাদ্রাসা এবং কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩৯ কোটি ২ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৮ টাকা।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাঠামোগত ক্ষতির চেয়েও বন্যায় শিক্ষার্থীদের বড় ক্ষতি হয়েছে শিক্ষা উপকরণে। ২১ সেপ্টেম্বর বন্যার ক্ষতি পরিদর্শনে ফেনী আসেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম। ছাগলনাইয়ার আন্ধারমানিক এলাকায় পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে গৃহনির্মাণের চাহিদা এবং শিক্ষা উপকরণের ক্ষতির তথ্য নিশ্চিত করে দ্রুত সরবরাহ করতে হবে।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফিউল্যাহ এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন জানান, প্রয়োজনীয় নতুন বইয়ের বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসন হতে প্রাপ্ত তথ্যে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বিদ্যুৎ বিভাগের ৭০৭ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৯৭ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৮ টাকা। এছাড়া নার্সারী ও বনায়নের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৮ টাকা। গভীর, অগভীর এবং হস্তচালিত নলকূপে ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়েছে ১৪৯ কোটি ৫৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।

একই তথ্য, ১ লাখ ২০ হাজার ৪৯০টি স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে ১০৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এছাড়া ১০টি হাসপাতাল, ৩টি ক্লিনিক ও ৭৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৬ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ২শ টাকা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে।


ফেনীতে এসেছেন উপদেষ্টারা
বন্যা পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে ফেনীতে আসেন একাধিক উপদেষ্টা এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের শীর্ষ-পর্যায়ের কর্মকর্তা। গত ২৪ আগস্ট বন্যায় প্লাবিত ফেনীতে আসেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক-ই-আজম, বীর প্রতীক। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সেদিন তিনি বলেন, সারাদেশ এখন বন্যা মোকাবেলায় নজর দিয়েছে। প্রথমে মানুষের জীবন বাঁচাতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এরপর অন্যান্য বিষয় নিশ্চিত হবে। জনগণই প্রত্যেকে প্রত্যেককে রক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে সবরকম কাজ অব্যাহত রয়েছে।

২৭ আগস্ট বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

২১ সেপ্টেম্বর বন্যার ক্ষতি পরিদর্শনে ফেনী আসেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো: নাহিদ ইসলাম। বন্যা প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, বন্যার স্থায়ী সমাধান করতে হবে। প্রতিবছর বন্যার সম্ভাবনা থাকে, কীভাবে ক্ষতি কমিয়ে আনতে পারি, বাঁধগুলো স্থায়ীভাবে করা যায়, তা ভাবতে হবে। এটি মোকাবেলায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি আলোচনায় রয়েছে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ২২ সেপ্টেম্বর ফেনীর একাধিক এলাকায় বন্যার ক্ষতি পরিদর্শনে আসেন।

ফেনীতে বন্যার পূর্বমুহূর্তে ভারতের কেটে দেওয়া বল্লামুখা বাঁধ পরিদর্শনে এসে উপদেষ্টা বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের কাছে জানতে এসেছি তারা কী সমাধান চান। স্থানীয় জনসাধারণ বলেছে প্রতিবেশী দেশ বাঁধ কেটে দেওয়ায় তারা বন্যায় চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এজন্য আমাদের মানুষের কথা, দুর্ভোগ ও প্রত্যাশা বুঝতে, সেই অনুযায়ী উজানের দেশের সঙ্গে কথা বলতেই এখানে আসা।