ফেনী জেলাপ্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেছেন, সরকারি বেসরকারি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে জন্মনিবন্ধনের প্রয়োজনীয়তা বুঝিয়ে সাধারণ মানুষকে জন্মনিবন্ধন করতে উৎসাহিত করে তুলতে হবে। এ সেবা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, জনগণের হাতে এ সেবা সহজে পৌঁছে দিতে হবে। এ পদ্ধতিকে সহজ করতে হবে। গতকাল রবিবার (৬ অক্টোবর) সকালে জেলাপ্রশাসক সম্মেলন কক্ষে জাতীয় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষ্যে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
জেলাপ্রশাসক বলেন, বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন করতে হলে পিতা-মাতার নিবন্ধন প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় সবকিছু জনগণকে বুঝিয়ে বলতে হবে। অনেকের ধারনা জাতীয় পরিচয়পত্র আছে, জন্ম নিবন্ধনের কি প্রয়োজন। এটি কাটিয়ে উঠতে হলে জন্ম নিবন্ধনকে বাধ্যতামূলক করতে হবে। সরকারি সেবা নিতে জন্ম নিবন্ধনের ব্যবহার করতে উৎসাহিত করতে হবে।
তিনি বলেন, সন্তানের জন্মনিবন্ধন সঠিকভাবে করতে সচেতন থাকতে হবে। সকল শিশুরা টিকা নেয়, টিকা কার্ড থেকেই জন্মনিবন্ধন করে ফেলতে হবে। এনজিও সেবাদানের ক্ষেত্রে এনাইডির পাশাপাশি জন্মসনদ বাধ্যতামূলক করতে হবে। উভয়মুখী সচেতনতা বাড়াতে পারলে এটি দ্রুত বাস্তবায়িত হবে।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বন্যার কারণে ফেনী পিছিয়ে গেছে। ফেনীতে এ কার্যক্রমের গতিশীলতা বাড়াতে সম্মিলিতভাবে সবার ভূমিকা রাখতে হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ বাতেন বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর জনপ্রতিনিধিদের অনুপস্থিতি কাটাতে প্রশাসক ও ইউনিয়নব্যাপী দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়া হয়েছে। সবাই একসাথে হয়ে জন্মনিবন্ধনকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে। জুলাই মাসে চট্টগ্রাম বিভাগে ফেনী প্রথম স্থানে ছিল, কিন্তু আগস্ট-সেপ্টেম্বরে ফেনী পিছিয়ে গেছে। এটিকে আবার স্বাভাবিক ধাপে ফিরিয়ে আনতে আমরা কাজ করছি। এসময় তিনি জন্মনিবন্ধনে বয়স বাড়ানো বা কমানো এসব বিষয় থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।
সভায় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ বলেন, জন্ম নিবন্ধন পর্যায়ক্রমিকভাবে হলেও মৃত্যু নিবন্ধন সেভাবে আগায়নি। মৃত্যু নিবন্ধনের জটিলতা কাটাতে সবধরনের উদ্যোগ নিতে হবে। কারন জন্ম নিবন্ধন সব কাজে প্রয়োজন হবে আগামীতে। সাম্প্রতিক সময়ে ফেনীতে নিবন্ধন কমলেও তা বাড়ানোর জন্য কাজ করতে হবে।
এসময় ফেনীর সকল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তর প্রধান, ইউনিয়ন পরিষদ সচিব ও উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।