নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ফেনী আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। গত শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতে ফেনীর জেলা প্রশাসক ও মাদরাসা পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার দৈনিক ফেনীকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিষ্ট্রার ড. মো. আবু হানিফা স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে বিধি অনুযায়ী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে। এদিন অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করে মাদরাসার শিক্ষক গাজী মীর ইকবাল হোসেনকে ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব দিয়ে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের আরও একটি তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-রেজিষ্ট্রার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ফেনী আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অভিযোগের বিষয়ে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত বেসরকারি মাদরাসাসমূহের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীগণের চাকুরির শর্তাবলী সংক্রান্ত প্রবিধান-২০২৩ অনুযায়ী ১৪, ১৫ এবং ১৬ ধারা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভাপতিকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর ঘনিষ্ঠজন হিসেবে নানা অপকর্মের হোতা ছিলেন অধ্যক্ষ মাওলানা মাহমুদুল হাসান। সরকার পতনের পর গত কয়েকদিন ধরে বিতর্কিত এ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মাদরাসার শিক্ষিকা-ছাত্রী কেলেঙ্কারি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতিসহ নানা ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস বর্জনের ঘোষণা দিয়ে মাদরাসায় তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে অধ্যক্ষ মাহমুদুল হাসান পলাতক রয়েছেন।