দাগনভূঞা পৌর এলাকায় ভবনে কাজ করার সময় আবুল খায়ের (৬৩) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর বারটার দিকে পৌর এলাকার উদরাজপুর মিয়া বাড়ির সামনে আলী হোসেনের পরিত্যক্ত বিল্ডিংয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল খায়ের দাগনভূঞা পৌর এলাকার (৯ নম্বর ওয়ার্ড) আমান উল্যাহপুর গ্রামের হাজী নূরুল হকের বাড়ি ওরফে বাশার ড্রাইভার বাড়ির নূরুল হকের ছেলে। তার ৩ মেয়ে ও একমাত্র ছেলে রয়েছে।
নিহতের পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন দুপুরে পাশ্ববর্তী একই এলাকার আলী হোসেনের পরিত্যক্ত বিল্ডিং এর সাইড ওয়াল ভাঙ্গার কাজ করার সময় বিল্ডিংয়ের পশ্চিম পাশে প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার ওয়ালটি হেমার দিয়ে ভাঙ্গার সময় ওয়ালের ভীমসহ উপরের অংশটি ভেঙে তার মাথার উপর পড়িলে ওয়ালের নিচে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন। অজ্ঞান অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
নিহতের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, ওইদিন সকাল নয়টার দিকে আমার স্বামী পাশ্ববর্তী একই এলাকার আলী হোসেনের পরিত্যক্ত বিল্ডিং এর কাজ করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। ১২ টার দিকে খবর পাই আমার স্বামী নেই। তিনি আলী হোসেনের পরিত্যক্ত বিল্ডিং এর সাইড ওয়াল ভাঙ্গার জন্য ১ মাসে চুক্তি নেয়। স্বামীকে হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি।
স্থানীয় সাবেক পৌর কাউন্সিলর নজির আহমেদ জানান, আবুল খায়ের খুবই ভালো মানুষ ছিলেন। সে রাজমিস্ত্রীর কাজ করলেও এলাকার কেউ মারা গেলে মৃত ব্যক্তির জন্য স্বেচ্ছায় কবর খোঁড়ার কাজ করত। তার একমাত্র ছেলে প্রবাসে (ইউনাইটেড আরব আমিরাতে) থাকে। পিতার মৃত্যুর খবর শুনে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছে। আজ রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দাফন সম্পন্ন হবে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।