গত ১৯ জুলাই ফেনী বড় মসজিদের সামনে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভে হামলার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় আরেকটি মামলা করা হয়েছে। আবদুল হান্নান নামে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট এলাকার এক ব্যক্তি বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। মামলায় ৮৪ জনের নামোল্লেখে ও ২৫০ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামি হচ্ছেন ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ নিজাম উদ্দিন হাজারী। এছাড়া মামলার ৬৬ আসামি হিসেবে বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন দুলালকে আসামি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ফেনী কেন্দ্রীয় বড় মসজিদের সামনে বিক্ষোভ করছিল কয়েক হাজার ছাত্র জনতা। এসময় আসামিররা সংঘবদ্ধ হয়ে ছাত্রজনতার বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচীতে হত্যা ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এসময় নির্বিচারে গুলি ও ককটেল বোমার বিস্ফোরণের শব্দে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হলে প্রাণ ভয়ে মানুষ দিক বেদিক ছোটাছুটি শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে মামলার বাদি তাকিয়া রোডের মুখে এলে মনোয়ার হোসেন দুলালসহ অন্যরা তার বুকে, মাথাসহ সমস্ত মুখমন্ডলে ও দুই চোখে উপর্যুপরি গুলি করতে থাকে। দুই চোখে গুলির স্পøীন্টার লেগে তিনি গুরতর আহত হন। এসময় মাটিয়ে লুটিয়ে পড়লে আসামিরা তাকে মৃত ভেবে ফেলে যায়। আসামিদের গুলির স্পøীন্টারের আঘাতে তার বাম চোখের দৃষ্টিশক্তি স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে গেছে ও অন্য চোখের দৃষ্টিশক্তি হারানোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।