বন্যা পরবর্তী ফেনীর জনপদে কাজ করছেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা। এতে বিভিন্ন সময় কাজে সমন্বয়হীনতার অভিযোগ তুলেছেন অনেকে। তবে এখন থেকে বন্যাদুর্গতদের পুনর্বাসনসহ অন্যান্য সব কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলকে সমন্বয়ের তাগিদ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে নিজ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।

সভায় জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, দুর্যোগ পরবর্তী এখন আমাদের পুনর্বাসন কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) থেকে সবাই বসে ক্লাস্টারভিত্তিক কাজ শুরু করতে হবে। এতে বাড়িঘর নির্মাণ, নগদ অর্থ সহায়তা, কৃষিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

সভার শুরুতে জেলায় বন্যায় বিভিন্ন খাতে ক্ষয়ক্ষতির তথ্য উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসক। পরে ইউনিসেফসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের মন্তব্য শুনে সরকারি দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে সকলকে কাজ করতে বলেন তিনি।

সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সব এনজিওকে আগামী দুমাস বন্যাদুর্গত এলাকায় ঋণ আদায় কার্যক্রম বন্ধ করতে বলেন জেলা প্রশাসক।
বক্তব্যে পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এ মুহূর্তে যথাযথ মনিটরিং না করলে প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছানো যাবে না। সভা-সেমিনার থেকেও এখন প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে পৌঁছানো জরুরি। কোনোক্ষেত্রে যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে আমাদের অবগত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সকলে মিলে কাজ করে দ্রুত আমরা ফেনীবাসী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে পারব বলে আশাবাদী।

সভায় ইউনিসেফের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম থেকে বন্যাদুর্গত এলাকায় নানা কার্যক্রম ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এ সময় বন্যায় জেলায় ৫ লাখ শিশু আক্রান্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

এতে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ইউনিসেফের চট্টগ্রাম ফিল্ড অফিসের চীফ মাধুরী ব্যানার্জিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।