ফেনীতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সরকারি হিসেবে সর্বোচ্চ ক্ষতি নিরূপিত হয়েছে শস্য, মৎস ও প্রাণিসম্পদের। উক্ত খাতগুলোতে মোট ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে ১ হাজার ২০ কোটি ৭২ লাখ ১৪ হাজার ৩৯ টাকা। সর্বনিম্ন ৪ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে মোবাইল ফোন টাওয়ারগুলোতে। গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ফেনীতে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ প্রকাশ করে জেলাপ্রশাসন। প্রাপ্ত তথ্য হিসেব করে পাওয়া গেছে, বন্যায় ফেনীতে নৌকা ও জালে ক্ষয়ক্ষতি ব্যতীত জনস্বাস্থ্য, অবকাঠামো, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎসহ বিভিন্ন খাতে আনুমানিক ক্ষতি হয়েছে ২ হাজার ৮৫৯ কোটি ৫৮ লাখ ৯১ হাজার ৩১৩ টাকা।
প্রকাশিত প্রতিবেদন আরও দেখা যায়, ৮ হাজার ৯৫টি কাঁচাঘর, ২৫০টি আধাপাকা ঘর বন্যায় সম্পূর্ণ ধ্বসে গিয়ে ক্ষতি হয়েছে ১৬৩ কোটি ১১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ৫৩ হাজার ৪৩৩টি কাঁচাঘর এবং ২ হাজার ৬৩২টি আধাপাকা ঘরের আংশিক ক্ষতির পরিমাণ ৩৭০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে ৬৪ হাজার ৪১৫টি ঘরবাড়িতে মোট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৫৩৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
৫৪টি মসজিদে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে মোট ৬ কোটি ৯১ লাখ ৬০ হাজার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা হয়েছে। এছাড়া ১৪৪টি মন্দিরে ৪৫ লাখ ২০ হাজার টাকা ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে ৭০৭ কিলোমিটার বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের আংশিক ক্ষতি হয়েছে ৩ কোটি ৯৭ লাখ ১৫ হাজার ৫৯৮ টাকা।
সড়ক, ব্রিজ, নদী ও কালভার্ট, নদী ও বাঁধে ক্ষতি হয়েছে ৯২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৩২ হাজার ৯৩৮ টাকা। এছাড়া নার্সারী ও বনায়নের ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬৪৮ টাকা। স্কুল, মাদ্রাসা এবং কলেজ পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ৩৯ কোটি ২ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯৮ টাকা। গভীর, অগভীর এবং হস্তচালিত নলকূপে ক্ষয়ক্ষতি দেখানো হয়েছে ১৪৯ কোটি ৫৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা।
১ লাখ ২০ হাজার ৪৯০টি স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে ১০৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। ১৮ হাজার ২৪৭টি পুকুর, ৮৯০টি জলাশয়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে ১২০ কোটি ২৯ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। এছাড়া ১০টি হাসপাতাল, ৩টি ক্লিনিক ও ৭৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৬ কোটি ১০ লাখ ৯ হাজার ২০০ টাকা ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বন্যায় জেলার ৮৮২ দশমিক ২৯ কিলোমিটার অর্থাৎ প্রায় ৯৬ শতাংশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বন্যায় জেলার মোট নারী, পুরুষ ও শিশু