ফেনীতে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সংঘবদ্ধ ছিনতাকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। শহর ও শহরতলীর বিভিন্ন এলাকায় ছিনতাইয়ের ঘটনার অভিযোগ রয়েছে। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের দাউদপুর থেকে অনলাইন হোম ডেলিভারী সার্ভিসের একজন কর্মীর মোবাইল ছিনতাই করে পালিয়ে যায় তিনজন ছিনতাইকারীর একটি দল। এসময় রাস্তার পাশের একটি ফার্মেসীতে ঔষধ কিনছিলেন দিদার মজুমদার ও মো: আতিক নামে স্থানীয় দুই যুবক। ওই কর্মীর শোরচিৎকারে ছিনতাইকারীদের ধরতে মোটর সাইকেল যোগে ধাওয়া করেন তারা। সিএনজিটিকে অনুসরণ করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে লেমুয়া ব্রীজের আগে ভাঙ্গা তাকিয়া পর্যন্ত গেলে এসময় সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের আরেকটি দল তাদের উপর ইট পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। এসময় দিদার ও আতিক আহত হন।
ভুক্তভোগী ওই কর্মী জানান, আমি ফুড ডেলিভারি করতে এসেছিলাম। পকেট থেকে মোবাইল বের করলেই চলন্ত সিএনজিটি থেকে একজন আমার মোবাইলটি ছিনিয়ে নেয়।
হামলার শিকার দিদার মজুমদার জানান, সিএনজিটিতে তিনজন ছিল। অনুসরণ করবার সময় পথিমধ্যে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় ফেলে দেবার চেষ্টা করে। পেছন থেকে কিংবা সাইড থেকে তাকে আটকাতে সক্ষম না হলে লেমুয়াতে আমরা সিএনজিটিকে অতিক্রম করে সামনে চলে যাই। উল্টা পথে দাঁড়িয়ে থেকে যখন তাকে ধরব তখন দেখি কোত্থেকে তাদের সাথে ১০/১৫ জন যোগ দিয়ে আমাদের লক্ষ্য করে ইট পাথর ছুঁড়তে থাকে। আমি বাম হাতে এবং আতিক পায়ে আঘাত পায়।
এমন ছিনতাইয়ের শিকার ভুক্তভোগীরা কাউকে চিনতে না পারার কারণে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেন না।
সিএনজি পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, কয়েকবার এ ধরনের অভিযোগ পেয়েছি। তবে শহরের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বেশি। শহরের এ ধরনের ঘটনার কথা প্রথম জেনেছি। যারা এ ধরনের ছিনতাইয়ে জড়িত, তাদের বেশিরভাগই মাদকাসক্ত। এছাড়া গাড়ির কোন কাগজপত্র না থাকায় তারা শহরে প্রবেশ করে না। রাতে বের হয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটায়।
মহিপালে হাইওয়ে থানার ইনচার্জ (ওসি) আসাদুজজামান বলেন, আমি বিষয়টি অবগত হয়েছি। তবে লিখিত কোন অভিযোগ পাই নি। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আসাদুজজামান জানান, সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করতে আমাদের বেশ কয়েকটি দল মহাসড়কে টহল দিচ্ছে। মহাসড়কে সিএনজি চলাচল বন্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি, মামলা দিচ্ছি, কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিএনজি অটোরিকশা জব্দ করে ডাম্পিংয়ের জন্য কুমিল্লা পাঠাচ্ছি। জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা মহাসড়ক পার হয়ে যেতে হয়। সেজন্য সিএনজি চালিত অটোরিকশা মহাসড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। মাঝে মাঝে তারা আমাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মহাসড়কে গাড়ি চালায়।