অবসরপ্রাপ্ত বিদায়ী শিক্ষকদের সংবর্ধনা ঘিরে ফেনীর শহীদ মেজর সালাহ্ উদ্দিন মমতাজ বীর উত্তম উচ্চ বিদ্যালয়ে বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। আজ শুক্রবার (৬ নভেম্বর) ‘মিলেছে আজ হাজারো প্রাণ, গুরু তোমায় জানাতে সালাম’ এ স্লোগানে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে দিনব্যাপী এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের।
এ উপলক্ষ্যে রঙিন বর্ণচ্ছটায় সেজেছে পুরো বিদ্যালয় প্রাঙ্গন। শিক্ষকদের সম্মান জানাতে আয়োজন করা হয়েছে নানা অনুষ্ঠানের। পথ জুড়ে আঁকা হয়েছে আলপনা। লাল, নীল, রঙিন আলোয় ঝলমল করছে বিদ্যালয়সহ সংলগ্ন এলাকা। বিদ্যালয়ের নানা ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। লাগানো হয়েছে শিক্ষকদের প্রতিকৃতি সম্বলিত ব্যানার। শহরের মোড়ে মোড়ে শোভা পাচ্ছে তার চিত্র।
বিদায়ী সংবর্ধনা উদযাপন কমিটির আহবায়ক এম সাইফউদ্দিন রুপম জানান, দীর্ঘ শিক্ষকতার জীবনে অসংখ্য শিক্ষার্থীকে মানুষের মত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন তারা । নিজের মেধা, শ্রম দিয়ে শিক্ষার্থীদের পথ দেখিয়েছেন জীবনের সঠিক গন্তব্যের। কিন্তু বিদায় নিলেও আমাদের স্মৃতিতে তারা আজও অম্লান রয়ে গেছেন। তাই বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ১০ শিক্ষকদের প্রতি সম্মান জানাতে প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদের উদ্যোগ নেয়া হয়।
তিনি জানান, বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কাজী আবদুল হান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ফেনী জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়েজুল কবির, বিশেষ অতিথি থাকবেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরীন সুলতানা ও জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কাজী ছলিম উল্লাহ।
উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ইয়াছিন আরাফাত রাজু জানান, আজ এ উপলক্ষ্যে বিদ্যালয়ে দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সকাল ৯টায় র্যালীর মাধ্যমে শুরু হবে আনুষ্ঠানিকতা। এরপর শিক্ষকদের সম্মান জানিয়ে বরণ, জাতীয় সংগীত, পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুরু হবে মুল আনুষ্ঠানিকতা। অনুষ্ঠানের অবসরপ্রাপ্ত ১০জন শিক্ষককে সম্মাননা প্রদান করা হবে। তারা হচ্ছেন, রুহুল আমিন ভূঞা, গোলাম মাওলা খোন্দকার, ওবায়দুল হক বিএসসি, ননী গোপাল পাল, স্বপন কুমার নাগ, রৌশন আরা বেগম, এয়ার আহম্মদ, ননী গোপাল বৈদ্য, মৌলভী ছায়েদুল হক, নুরুল আমিন মজুমদার শাহজাহান। এছাড়া অনুষ্ঠানে শহীদ মেজর সালাহ্ উদ্দিন মমতাজ বীর উত্তমের পরিবারসহ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও সম্মান জানানো হবে। দুপুরের মধ্যহ্নভোজের পর আয়োজন করা হয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের।
উদযাপন কমিটির সদস্য মোঃ সাহাব উদ্দিন জানান, গত তিনমাস আগে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এজন্য প্রাক্তন শিক্ষার্থী পরিষদ গঠন করা হয়। বিদ্যালয়ের নানা ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রবীণ ও নবীন শিক্ষার্থীদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। এতে অংশগ্রহণের জন্য হাজারেরও অধিক প্রাক্তন শিক্ষার্থী রেজ্রিস্ট্রেশন করেছে।
সাহাব উদ্দিন জানান, আগামী ২০২৩ সালে বিদ্যালয়ের সূবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব আমরা। এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সেই উদযাপনের সূচনামাত্র।