ফেনীতে একদিনে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় চারজন নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার (৩০) সকালে ফেনী-বসুরহাট সড়কের দাগনভূঞার করিমপুর, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জে ও বৃহস্পতিবার রাতে দাগনভূঞার ইয়াকুবপুরে দুর্ঘটনাগুলো ঘটে।
দাগনভূঞায় নিহত তিনজন হলেন সিরাজগঞ্জের ফুল গাছ বিক্রেতা মোঃ জাকারিয়া (৩৫), নেত্রকোনার আইনুল হক (৩০) ও ইয়াকুবপুরের এতিমখানা বাজারের স্থানীয়র রিকশা গ্যারেজের মালিক আবদুর রব (৭৬)। মুহুরীগঞ্জে নিহত ব্যক্তির নাম সাদ্দাম হোসেন (২৪)। তাঁর বাড়ি কুমিল্লায়। তিনি একটি কাভার্ডভ্যানের চালকের সহকারী ছিলেন।
দাগনভূঞা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আউয়াল জানান, আজ সকালে ওই ফেনী-বসুরহাট আঞ্চলিক সড়কের দাগনভূঞার করিমপুরে জনৈক ইসমাইল ফরায়জী বাড়ীর সামনে ঢাকাগামী ড্রিম লাইন পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক আসা একটি সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ফুলবাড়ির সোলাইমানের ছেলে জাকারিয়া এবং নেত্রকোনার বাচ্চু মিয়ার ছেলে আইনুল হক মারা যান। এ ঘটনায় নেত্রকোনার পাহাড়পুর এলাকার মাঝুমিয়ার ছেলে আবিদ, একই এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে মাসুদ ও নোয়াখালীর কবির হাটের নলুয়া এলাকার আবদুল বাতেনের ছেলে সুজন নামে আরও তিনজন সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী আহত হন। তাদের ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এদের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে আনার আগে মারা গেছেন। অন্য আহতের উন্নত চিকিৎসায় ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
অপরদিকে ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ছাগলনাইয়ার মুহুরীগঞ্জ সুলতানা পেট্রলপাম্প এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী কাভার্ডভ্যানকে পেছন থেকে অপর একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দেয়। এতে পেছনের কাভার্ডভ্যানের চালকের সহকারী সাদ্দাম হোসেন ঘটনাস্থালেই মারা যান। তাঁর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত একটার দিকে উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের নতুন লালপোল নামক স্থানে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলে ধাক্কায় আবদুর রব (৭৬) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবদুল আউয়াল জানান, নিহত আবদুর রব স্থানীয় এতিমখানা বাজারে একটি রিকশা গ্যারেজের মালিক ছিলেন। তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।