ফেনীতে চাকমা তরুণী (১৮) ধর্ষণের ঘটনায় দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে মামলার দুই আসামী রিকশাচালক মোঃ রিয়াজ ও সেলুন কর্মচারী ছোটন চন্দ্র শীল। মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়ে তারা ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আদিল মাহমুদ।
তদন্ত কর্মকর্তা জানান, দুপুরে পৃথকভাবে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ জাকির হোসাইনের আদালতে মোঃ রিয়াজের ও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্টেট্র ধ্রুব জ্যোতি পালের ছোটন চন্দ্র শীলের জবানবন্দী গ্রহণ করা হয়। তার দুজনেই ঘটনার সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে ওই রাতের বিবরণ দিয়েছে। জবানবন্দী শেষে আদালত আসামীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ওই তরুণীকে তার ভগ্নিপতির জিম্মায় দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন ⇒ ‘ফেনীতে চাকমা মেয়েকে ধর্ষণ : আটক ২’
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৮ অক্টোবর) রাতে মহিপাল হতে বিসিক এলাকায় পৌঁছে দেবার কথা বলে ফেনী পৌর ময়লা ডাম্পিং এলাকায় মোক্তার বাড়ির সামনে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছিল রিকশাচালক লক্ষীপুর জেলার কমলনগর থানার জগবন্ধু গ্রামের মোঃ ছাদেকের ছেলে মোঃ রিয়াজ। একই রাতে তাকে একা পেয়ে দেওয়ানগঞ্জ মূল সড়কের পাশে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডের সমীর চন্দ্র শীলের ছেলে সেলুন কর্মচারী ছোটন চন্দ্র শীল। পরে ভোর রাতের দিকে টহলরত পুলিশ সদস্যরা সন্দেহের বশে তাদের ধরে থানায় আনলে মেয়েটি ঘটনার কথা জানালে ওই দুজনকে আটক করা হয়।
ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) ওমর হায়দার জানান, এ ঘটনায় সোমবার সকালের দিকে ওই মেয়েটি বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ২০০০ এর (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯ (৩) ধারায় মামলা দায়ের করে। ওইদিন সন্ধ্যার দিকে মেয়েটির শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। মঙ্গলবার এ মামলায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামীকে আদালতে হাজির করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রিকশাচালক রিয়াজ ফেনীর দেওয়ানগঞ্জের বাবুল মিয়ার কলোনীতে ভাড়া থাকে, আর ছোটন হাজারী রোডের একটি সেলুনে কাজ করত। জানা গেছে, মেয়েটির বাড়ি খাগড়াছড়িতে। সোমবার চট্টগ্রামে বোনের বাসা হতে সে বান্ধবীর কাছে ফেনীতে বেড়াতে এসেছিল।