সোনাগাজীতে কিশোরী ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগে চাচাকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তি তমিজ উদ্দিন নয়ন (৫০) ধর্ষিতার বাবার চাচাতো ভাই। নয়ন সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের চুনি মাঝির নতুন বাড়ির বাসিন্দা ও স্থানীয় ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি পেশায় একজন ফার্নিচার ব্যবসায়ী। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি স্কুল ছাত্রী। তার বয়স ১৪ বছর। সে স্থানীয় একটি স্কুলের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) ধর্ষিতার অভিযোগের ভিত্তিতে রাত ১১টার দিকে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়েছে বলে জানান সোনাগাজী থানার ওসি (তদন্ত) আাবদুর রহিম সরকার।
মেয়েটির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের ১ তারিখ উক্ত কিশোরী সকালে প্রাইভেট পড়তে যাবার সময় জোর করে বাজারের নিজ দোকানে নিয়ে ধর্ষণ করে চাচা নয়ন। তার ভয়ে মেয়েটি এতদিন মুখ বুজে ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে কিশোরীটি এ ব্যাপারে তার মাকে জানালে ঘটনাটি প্রকাশ পায়। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। তবে নয়ন প্রভাবশালী বিধায় কেউ তার ব্যাপারে মুখ খুলতে রাজি হয়নি। পরে পরিবারের সদস্যরা থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
জানা গেছে, মেয়েটির বাবা একজন কাঠুরে। তিনি গাছ কেটে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঘটনার শিকার মেয়েটি জানায়, এ ঘটনা কারো প্রকাশ করলে তার বাবাকে কাজ থেকে বের করে দিবে এবং তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় নয়ন।
এ ঘটনায় পুলিশের তড়িৎ ভূমিকার জন্য সহকারি পুলিশ সুপার সাইকুল ইসলাম ভূইয়া (সোনাগাজী সার্কেল) ও থানার পুলিশ সদস্যদের প্রতি সন্তুষ্টি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ধর্ষিতার বাবা।
সোনাগাজী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জানান, এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করছেন। প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
তিনি জানান, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন ও এসআই নওশের কোরাইশি অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছেন।