২০ নভেম্বর, ২০১৯
।। নিজস্ব প্রতিবেদক ।।
নতুন সড়ক পরিবহন আইনের সংস্কারের দাবিতে সড়কে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে দুরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় ফেনীতে দূর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। এই সুযোগে সিএনজি অটোরিকশা ও ব্যাটারি চালিত টমটমের চালকরা বাড়তি ভাড়া আদায় করে।
পরিবহন শ্রমিক ও ভুক্তভোগী যাত্রীরা জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সড়কে পরিবহন ধর্মঘটের কারণে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কে বাস চলাচল বন্ধ ছিল। বুধবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৭টার দিকে পরিবহন শ্রমিকেরা যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। তারা সিএনজি চলাচলেও বাধা দেয়। এতে ফেনীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চাকরিজীবি ও বিভিন্ন স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিড়ম্বনায় পড়ে।
পরে খবর পেয়ে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম ও পুলিশের হস্তক্ষেপে সরে পড়ে। এরপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে ফেনী শহরের ট্রাংক রোড থেকে মহিপাল, ফতেহপুর, সালাহউদ্দিন মোড়, সদর হাসপাতাল মোড়ে সিএনজি চলাচল অন্যান্য দিনের চেয়ে কম ছিল। সন্ধ্যার পর কর্মস্থল থেকে ফেরার পথে যানবাহন কম থাকায় ভোগান্তির শিকার হন চাকরিজীবিরা। অনেকে দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে রিকশায় করে বাড়ি ফেরেন।
ফেনী শহরের টার্মিনাল থেকে স্টার লাইন পরিবহন ও এনা পরিবহনের কোন বাস ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় নি। ফেনী-নোয়াখালী, ফেনী-সোনাগাজী আঞ্চলিক সড়কেও বাস চলাচল সীমিত ছিল।
ফেনী ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ আলাউদ্দিন জানান, পরিবহন ধর্মঘটের প্রভাব ফেনীতে পড়ে নি। যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
মহিপাল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান জানান, সকাল বেলা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। বিকালে পর তা কিছুটা কমে যায়। মহাসড়কে পরিবহন শ্রমিকদের দেখা যায় নি।