নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব ও ফেনীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জেনেক্সপার্ট ল্যাবে মোট ১৮৫টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৯০ জনে।
আজ মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন এসব তথ্য জানান।
এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছেন মোট ৩৭ জন।
এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ৩৬ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৫৫৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৮৬.৮১ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ২.০৬ শতাংশ।
মোট ৯ হাজার ১৮২টি নমুনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৯.৪৯ শতাংশ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান শাখা সূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ফেনীর ১১৭টি ও আজ ফেনীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জেনেক্সপার্ট ল্যাবে ৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধে ২২টি পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ১৩ জন, দাগনভূঞায় ১ জন, ছাগলনাইয়ায় ৫ জন ও ফুলগাজীতে ২জন রয়েছে। এছাড়া ফেনীর বাইরের এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১.৮৯ শতাংশ।
স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ১ হাজার ৭৯০ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৬৪২ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৩৮৬জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ২৬০জন, ছাগলনাইয়ায় ২১৮জন, পরশুরামে ১৩৪ জন ও ফুলগাজীতে ১১৮ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ২৭ জন রোগী রয়েছে।
ফেনীতে শনাক্তকৃত মোট করোনা রোগীর প্রায় ৩৫.৮৬ শতাংশ রোগীই ফেনী সদরের বাসিন্দা।
গত ১৬ এপ্রিল জেলায় ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।