নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব হতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফেনীর ৭৩টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১৭ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৩.৮৭ শতাংশ। যা গতকালের তুলনায় প্রায় ১২ শতাংশ বেড়েছে। গতকাল রবিবার একই সংখ্যক নমুনা পরীক্ষায় ৮জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ছিল ১০.৯৫ শতাংশ।
এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭৪৫ জনে। আজ সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন এসব তথ্য জানান।
এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছেন মোট ৩৭ জন।
এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ১২ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৪৯৩ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৮৫.৫৫ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ২.১২ শতাংশ।
মোট ৮ হাজার ৭৫৪টি নমুনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৯.৯৩ শতাংশ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান শাখা সূত্রে জানা যায়, গতকাল রবিবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ফেনীর ৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধে ১৪টি পজিটিভ এসেছে, যার মধ্যে একটি দ্বিতীয় নমুনা। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৫ জন, সোনাগাজীতে ৬ জন, দাগনভূঞায় ৩ জন ও ছাগলনাইয়ায় ৩ জন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ১ হাজার ৭৪৫ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৬১৫ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৩৮৪জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ২৬০জন, ছাগলনাইয়ায় ২০৮জন, পরশুরামে ১৩৪ জন ও ফুলগাজীতে ১১৪ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ২৬ জন রোগী রয়েছে।
ফেনীতে শনাক্তকৃত মোট করোনা রোগীর প্রায় ৩৫.২৪ শতাংশ রোগীই ফেনী সদরের বাসিন্দা।
গত ১৬ এপ্রিল জেলায় ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।