নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় চলতি মাসে গত একদিনে ফেনীতে করোনা শনাক্তের হার সর্বোচ্চ। নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব হতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফেনীর ৬২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ১৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৯.০৩ শতাংশ। চলতি মাসে শনাক্তের হার ২০/২১ শতাংশ থাকলে আজ সেটি প্রায় ৯ শতাংশ বেড়েছে।
এ নিয়ে জেলায় করোনা শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭২০জনে। আজ শনিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সিভিল সার্জন ডাঃ মীর মোবারক হোসাইন এসব তথ্য জানান।
এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মারা গেছেন মোট ৩৭ জন।
এ সময়ের মধ্যে নতুন করে আরও ১১ জন রোগী সুস্থ হয়েছে। এখন পর্যন্ত জেলায় মোট ১ হাজার ৪৬৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৮৫.১১ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ২.১৫ শতাংশ।
মোট ৮ হাজার ৬০৮টি নমুনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। মোট নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৯.৯৮ শতাংশ।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান শাখা সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাবে ফেনীর ৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধে ১৮টি পজিটিভ এসেছে। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৮ জন, দাগনভূঞায় ৪ জন, ছাগলনাইয়ায় ৩ জন ও ফুলগাজীতে ২জন রয়েছে। এছাড়া ফেনীর বাইরের আরও এক ব্যক্তির করোনা শনাক্ত করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ১ হাজার ৭২০ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৬০৪ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ৩৮১জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ২৫৪জন, ছাগলনাইয়ায় ২০৪জন, পরশুরামে ১৩৪ জন ও ফুলগাজীতে ১১৩ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ২৬ জন রোগী রয়েছে।
ফেনীতে শনাক্তকৃত মোট করোনা রোগীর ৩৫.১১ শতাংশ রোগীই ফেনী সদরের বাসিন্দা।
গত ১৬ এপ্রিল জেলায় ছাগলনাইয়া উপজেলায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়।