ফেনীতে আরও ৩২জনের করোনা শনাক্তের পর জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা ১ হাজার ৮৫জন। নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব হতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফেনীর ১৪৭টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে আরও ৩২জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার (১৯ জুলাই) জেলা ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুদ রানা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ের পরিসংখ্যানবিদ মোঃ আবু ইউসুফ জানান, গতকাল শনিবার নোয়াখালীর আবদুল মালেক মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ফেনীর ১৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তার মধ্যে ৩৩টি পজিটিভ এসেছে। এর মধ্যে ১টি দ্বিতীয় নমুনা। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে ফেনী সদরে ৪জন, ছাগলনাইয়ায় ৬জন, পরশুরামে ৯জন, ফুলগাজীতে ৬জন, সোনাগাজীতে ৪জন ও দাগনভূঞায় ৩জন রয়েছে।
আজ পর্যন্ত জেলায় মোট ৬৯৮জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে। আজ নতুন সুস্থ হওয়া রোগীদের মধ্যে সোনাগাজীতে ১০জন ও দাগনভূঞায় ২জন রয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগ প্রদত্ত তথ্যমতে, এ পর্যন্ত ফেনীতে শনাক্ত ১ হাজার ৮৫ জন রোগীর মধ্যে সর্বোচ্চ শনাক্ত হয়েছে ফেনী সদরে ৪০৯ জন। শনাক্তের সংখ্যায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দাগনভূঞা উপজেলা। এ উপজেলায় মোট শনাক্ত করা হয়েছে ২২৮জন। এরপরে রয়েছে সোনাগাজীতে ১৮২ জন, ছাগলনাইয়ায় ১৩১ জন, ফুলগাজীতে ৬১ জন ও পরশুরামে ৬৩ জন। এছাড়া ফেনীর বাইরের ১৫ জন রোগী রয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আজ পর্যন্ত ফেনীতে মোট সংগৃহীত ৬ হাজার ১৭৫টি নমুনার মধ্যে ৫ হাজার ৮৫৯টি নুমনার পরীক্ষার ফল পাওয়া গেছে। শনাক্তকৃতদের মধ্যে ১৪জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। বাকীরা হোম আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে চিকিৎসার জন্য ২১জনকে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে।
একই সূত্র জানায়, গত ২৪ ঘন্টায় টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন ৩৩৭জন। আজ পর্যন্ত জেলা মোট ৩৫ হাজার ৭২৫জন টেলিমেডিসিন সেবা গ্রহণ করেছেন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ফেনীতে সুস্থতার হার প্রায় ৬৪ শতাংশ। অর্থাৎ এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত করোনা রোগীর তিনভাগের দুইভাগ সুস্থ হয়েছেন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে জেলায় মোট ২৬ জন মারা গেছেন। মৃত্যুর হার প্রায় ২শতাংশ।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ফেনীতে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ৫ হাজার ৮৫৯টি নুমনার ফলাফলে উক্ত সংখ্যা শনাক্ত করা হয়। অর্থাৎ প্রতি ৫টি নুমনার মধ্যে প্রায় ১টি পজিটিভ এসেছে। শনাক্তের হার প্রায় ১৮ শতাংশ।