ফেনীতে টেকসই মুহুরী বাঁধ ও নদী ড্রেজিংসহ বন্যা প্রতিরোধে ৮২৫ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাবনা দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
ফেনীর বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে এসে বুধবার দুপুরে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবির বিন আনোয়ার বলেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে তা একনেকে যাবে। সব ঠিক থাকলে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শুরু হবে প্রকল্পের কাজ। আগামী দুই বছরে সম্পন্ন হবে প্রকল্পটি।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ, নিষ্কাশন ও সেচ প্রকল্পের পুনর্বাসন প্রকল্প নামে ৮২৫ কোটি টাকার প্রস্তাবিত প্রকল্পের মধ্যে নদী খনন, ব্রিজ নির্মাণ, মুহুরী নদীর বাংলাদেশ (ফেনী) অংশে ৯২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণ, বাঁকা অংশ সোজাকরণ, লুফ, বেড়িবাঁধে রাস্তা পাকাকরণসহ সবগুলো কাজের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকা। এ কাজে প্রয়োজনীয় জমি অধিগ্রহণের জন্য অবশিষ্ট টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, প্রস্তাবনাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কারিগরি শাখায় যাচাই বাছাই চলছে। এরপর মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় হয়ে একনেক এ অনুমোদনের জন্য উঠবে।
সিনিয়র সচিব কবির বিন আনোয়ার জানান, প্রস্তাবনা অনুয়ায়ী ফেনীর ফুলগাজী, পরশুরামে মুহুরী, সিলোনিয়া এবং কহুয়া নদীর গভীরতা বাড়াতে খনন কাজ হবে। এতে জলাধারের আকার বাড়বে, উজানের ঢল যেন সহজভাবে সাগরে যেতে পারে।
নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, মুহুরী নদীর পরশুরাম অংশের ব্রীজগুলো ৮০ থেকে ১০০ মিটার পর্যন্ত হলেও ফুলগাজী এসে ব্রীজগুলো তা ৪০-৪৫ মিটার হয়ে গেছে। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ফুলগাজীর বরইয়া ব্রীজ দৈর্ঘ্যে ৪৪ মিটার এবং বাজার সংলগ্ন রেলওয়ে ব্রীজ ৪৫ মিটার। এতে করে নদীর বিস্তৃতি কমে যাওয়ায় উজানের পানির প্রবল চাপে ফুলগাজী অংশে এসে ফুলে উঠে। এতে বাঁধ টিকিয়ে রাখা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। তাই পরশুরামের ধনীকুন্ডা হতে ফুলগাজী উপজেলার জগতপুর পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার নদী নতুন করে খনন করা হবে। ব্রীজগুলো হয়তো নতুন করে গড়তে হবে।
বাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বন্যার পানি নেমে গেলেই দ্রুততর সময়ে যথাযথভাবে সংস্কার করা হবে। তবে প্রকল্পের অনুমোদন পেলে মুহুরী বেড়িবাঁধ নিয়ে সমস্যা থাকবে না।