৮ নভেম্বর, ২০১৯
।।নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ফেনীতে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ মোকাবেলা ও দূর্যোগ প্রশমনে সোনাগাজীর উপকুলীয় এলাকায় ৩টি মেডিকেল টিমসহ সমগ্র জেলায় ৭৬টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। শুক্রবার ( ০৮ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামান।
সভায় জানানো হয়, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় সকল সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে এবং কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপন্ন মানুষের জন্য ৫ হাজার মেট্রিক টন চাল, ৬’শ মেট্রিক টন গম, চিড়া, মুড়ি গুড়সহ বিশুদ্ধ পানির মজুদ রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রয়োজনীয় খাবার স্যালাইনসহ প্রাথমিক ঔষধ মজুদ রয়েছে।
আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া লোকজনের বাড়ির মালামালে নিরাপত্তা পর্যাপ্ত পুলিশের পাশাপাশি রেড ক্রিসেন্ট, স্বেচ্ছাসেবক, সিপিবি, রোভার, আনসার বিডিপির সদস্যরা দূর্যোগ কবলিত এলাকার মানুষের পাশে নিয়োজিত থাকবে ।
সভায় আরও জানানো হয়, উপকুলীয় এলাকার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষনিক নজরদারী রাখবে। মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু ও খামারের পশুদেরও নিরাপদ স্থানে নেয়ার প্রস্তুতি রয়েছে উপজেলা প্রশাসনের। দূর্যোগ পরবর্তী সময়ে কৃষি বিভাগ, মৎস বিভাগসহ সম্ভাব্য ক্ষতি মোকাবেলায় সব বিভাগ কাজ করবে।
সভায় পুলিশ বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, পানি উন্নয়ন, ত্রান বিভাগ, কৃষি ও বিদ্যুত বিভাগসহ সব বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সব বিভাগের সমন্বয়ে প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় সতর্কতা মূলক প্রস্তুতির বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রস্তুতি সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোছাঃ সুমনী চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ গোলাম জাকারিয়া , ফেনী পল্লী বিদ্যুত সমিতির জিএম মোঃ আখতার হোসেন, সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মোস্তফা মোস্তাকুর রহিম খান, ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলা উদ্দিন
উল্লেখ্য, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল বাংলাদেশ উপকূলের ৫০০ কিলোমিটারের মধ্যে পৌঁছে যাওয়ায় মোংলা ও পায়রায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা যাচ্ছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরে ০৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হয়েছে। ফেনীর উপকুলীয় অঞ্চল সোনাগাজীতে ঘুর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র প্রভাবে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। শনিবার বিকাল নাগাদ এটি বাংলাদেশের উপকুলীয় এলাকায় অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে।