তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় ফেনী শহরের মিজান রোডের গ্র্যান্ড হক টাওয়ার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে সভাপতি পদে আনোয়ার হোসেন শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক পদে সহিদুল ইসলাম সহিদান বিজয়ী হয়েছেন।
এছাড়া কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে শাহাদাত হোসেন (মামুন), সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ শাহজাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (রাজু), ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক (মুসলিম) পদে মজিবুর রহমান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে নিজাম উদ্দিনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নুরুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাইফুল আলম, কোষাধ্যক্ষ পদে মোঃ নাছির উদ্দীন, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক (অমুসলিম) পদে কনক চন্দ্র বনিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নজরুল ইসলাম শিশির, দপ্তর সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার গ্র্যান্ড হক টাওয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমন উল হক জানান, সকাল ১০টা থেকে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ শেষে সকল প্রার্থীর উপস্থিতিতে ভোট গণনা করা হয়। নির্বাচনে ২৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ২৩৭জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে অংশ নিয়েছেন ৩৩ জন প্রার্থী।
এছাড়া নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মির্জা হাসান মাওলা, মোঃ ইউসুফ ভূঁঞা, কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ জসিম উদ্দিন।
প্রাপ্ত ফলাফলে সভাপতি পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে ছাতা প্রতীকে ১১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনোয়ার হোসেন শাহীন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নুর মোহাম্মদ পাটোয়ারী চেয়ার প্রতীকে ৫৭ ভোট, জাকির হোসেন আজাদ বাল্ব প্রতীকে ৩৭ ভোট এবং দিলদার হোসেন আনারাস প্রতীকে ১৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
অন্যদিকে শাহাদাত হোসেন মামুন বাইসাইকেল প্রতীকে ১৩৭ ভোট পেয়ে সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাজী মোঃ জসিম উদ্দিন উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ৯৭ ভোট। সহ-সভাপতি পদে মোঃ শাহজাহান দেয়াল ঘড়ি প্রতীকে ১১৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রার্থী মোঃ আশেক এলাহী খসরু মোমবাতি প্রতীকে পেয়েছেন ১১২ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে সহিদুল ইসলাম সহিদান মাছ প্রতীকে ১২৪ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শাহাদাত হোসেন চৌধুরী দোয়াতকলম প্রতীকে ১০৭ ভোট পেয়েছে পরাজিত হয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে জগ প্রতীকে মোঃ মহিউদ্দিন রাজু ৮৯ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু ইকবাল শামীম ভূঞা কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৮৮ ভোট। অপর প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুন নাহার আলমারি প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ ভোট।
এছাড়াও ধর্মবিষয়ক সম্পাদক পদে মজিবুর রহমান বই প্রতীকে ১৭২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ফরিদ আহমেদ মোবাইল প্রতীকে ৫৬ ভোট পেয়ে পরাজিত হন।
ক্রীড়া সম্পাদক পদে নিজাম উদ্দিন ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে ১৪০ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী আসাদুজ্জামান মজনু ফুটবল প্রতীকে পেয়েছে ৮৮ ভোট।
এছাড়া কমিটির ৮ কার্যকরী সদস্য পদে ১০জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মধ্যে গোলাপ প্রতীকে সর্বাধিক ১৯৭ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন মোঃ আসলাম। চাকা প্রতীকে ১৯৪ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন মোঃ মাজহারুল ইসলাম রুবেল। এছাড়া সদস্যদের মধ্যে কাজী মোঃ নাহিম হাত পাখা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯৩ ভোট, আবদুল্লাহ আল নাইম ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন ১৭৭ ভোট, মোঃ শহীদুল ইসলাম বাঘ প্রতীকে পেয়েছেন ১৭৪ ভোট, আনোয়ার হোসেন মোরগ প্রতীকে পেয়েছেন ১৭৩ ভোট, আরিফ হোসেন মোল্লা হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ১৬৪ ভোট, সাখাওয়াত হোসেন প্রজাপতি প্রতীকে পেয়েছেন ১৫৮।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, নির্বাচিত কমিটি আগামী ২ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।