ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবক আব্দুর রহমান শামীমের (২১) রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। পুলিশ বলছে, শামীম গত ১৯ জুলাই শহরের ট্রাঙ্ক রোডের বড় মসজিদ এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় দায়ের করা দুটি মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।

গ্রেপ্তারের পর তাকে ছাত্রলীগ নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হলেও দলটির একাধিক নেতার সাথে কথা বলে জানা গেছে, শামীম ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নন। তবে তিনি ছাত্রদলের রাজনীতিতে জড়িত রয়েছেন বলে ছাত্রদলের একজন শীর্ষ নেতা দৈনিক ফেনীর কাছে দাবি করেছেন। তার বক্তব্যের স্বপক্ষে ছাত্রদলের সঙ্গে শামীমের দীর্ঘদিনের সম্পৃক্ততা ও নানা কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার ছবি ও তথ্য পেয়েছে দৈনিক ফেনী। প্রাপ্ত একটি ছবিতে পিস্তল হাতে ফেসবুকে শামীমের ভাইরাল হওয়া ছবিটি বিতর্ক তৈরি করেছে। এ ছবি প্রসঙ্গে একাধিক সূত্র দাবি করেছে, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এভাবে ছবি তোলা স্বাভাবিক নয়। তবে এ প্রসঙ্গে ভিন্নমত দিয়েছেন ছাত্রদলের ওই শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা শামীমকে একবার আটকে মারধর করে পিস্তল হাতে ছবি তুলে ফেসবুকে প্রকাশ করে।

শামীম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন দৈনিক ফেনীকে বলেন, শামীম দলের দুঃসময়ে আমাদের দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সম্প্রতি দ্বন্দ্বের জেরে তিনি আহত হয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি মামলা করেছিলেন। এর কারণে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্র করে ছাত্রলীগ নেতার পরিচয়ে তাকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের দুইটি মামলায় আসামি করেছে। শামীম মূলত ছাত্রদলের কর্মী।

এ ব্যাপারে ফেনী মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, শামীমকে দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পুলিশের অভিযানে লেমুয়া এলাকা থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্র জানায়, মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লেমুয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা ইসমাইল কাজী বাড়ি থেকে শামীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি ওই এলাকার সালেহ আহাম্মদের ছেলে। হামলার ঘটনার পর থেকেই শামীম আত্মগোপনে ছিলেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।