কমিটিতে পদ না পাওয়া, যোগ্যতা অনুযায়ী নেতৃত্বের পদায়ন না হওয়ার অভিযোগ এবং পদত্যাগের ঘটনার মধ্য দিয়ে আলোচনায় ফেনী জেলা জাতীয় পার্টির নবগঠিত আহবায়ক কমিটি। চলতি মাসে আহবায়ক কমিটি ঘোষণার দুইদিনের মধ্যে পদত্যাগ করেন আহবায়ক এমপি নাজমা আক্তার।
নিজের পদত্যাগের কারণ হিসেবে জানান, কমিটি গঠনে তার মতামত নেয়া হয়নি। তিনি বলেন, পূর্ববর্তি কমিটির সভাপতি হিসেবে আমি জানি কারা ত্যাগী ও সাংগঠনিকভাবে দক্ষ। আহবায়ক কমিটি না করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার সুযোগ ছিল, তিনি আরও বলেন।
তবে কমিটি নিয়ে বিরোধের কথা মানতে রাজি নন বর্তমান আহবায়ক মোতাহার হোসেন চৌধুরী রাশেদ। তিনি বলেন, আহবায়ক কমিটি নিয়ে দৃশ্যমান কোন বিরোধ নেই। কেউ মনের মধ্যে কিছু ধারণ করে থাকলে তা সংগঠনের বিষয় নয়। শনিবার সকালে (২৬ সেপ্টেম্বর) আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভা রয়েছে। সেখানে সবাই উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
আহবায়ক কমিটির সদস্য জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার নজরুল ইসলাম। নিজের প্রতি অবিচার হয়েছে দাবী করে নজরুল বলেন, দীর্ঘদিন দলের সুখে দুঃখে থেকেছি। এখন আমার জায়গা না হলেও দলে সদ্য যোগদানকৃত লোকজন কমিটিতে এসেছে। এ কমিটিতে এমন লোকও আছে যারা জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত নয়।
জাতীয় পার্টির ফেনী সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি শাহ আলম বলেন, একান্ন সদস্যের বড় অংশ নতুন। তিনি অভিযোগ করেন, নতুন আহবায়ক ঢাকায় রাজনীতি করেন, তিনি ফেনীতে থাকেন না। যোগ্যতা অনুযায়ী কমিটিতে কর্মীদের মূল্যায়ন না হলে সংগঠন দুর্বল হয়ে যায়।
একান্ন সদস্যের আহবায়ক কমিটিতে কতজন নতুন মুখ জায়গা পেয়েছে জানতে চাইলে রাশেদ জানান, ১৫ হতে ২০জন নতুন মুখ কাজ করার সুযোগ পেয়েছে।
দাগনভূঞা উপজেলা কমিটির সভাপতি মোঃ আবদুল ওয়াদুদ বলেন, কমিটি নিয়ে বিরোধ সবসময়ই হয়ে থাকে। তবে দলের স্বার্থে প্রাপ্তি অপ্রাপ্তি মেনে রাজনীতিতে থাকা উচিত।
তৃণমূলে বিরাজমান অসন্তোষ প্রসঙ্গে জাতীয় মহিলা পার্টির মহাসচিব ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার বলেন, দলীয় চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সাথে আলোচনা হয়েছে। আমাদের প্রেসিডিয়াম সদস্য এমপি জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীর সাথে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা হবে। তিনি বলেন, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী আমাদের অভিভাবকতুল্য। তার পরামর্শ নিয়ে ফেনী জেলা জাতীয় পার্টি এগিয়ে যাবে।