একই দিনে মা দেল আফরোজ বেগম ও বড় ভাই জসিম উদ্দিন হাজারীকে হারিয়ে শোকে মূর্চ্ছমান হয়ে পড়েছেন ফেনী-২ আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী। মায়ের প্রগাঢ় ভালোবাসা আর ভাইয়ের স্নেহ হতে চিরতরে বঞ্চিত হয়ে মুষড়ে পড়ছেন সাংসদ। তার সেই অপূরণীয় ক্ষতিতে সমব্যাথী সাবেক ছাত্রনেতা, আমলা ও ফেনী ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম।
আজ সোমবার (২৫ মে) বিকালে নিজাম উদ্দিন হাজারীকে সমবেদনা জানাতে মাষ্টার পাড়ার লমী হাজারী বাড়িতে ছুটে এসেছেন তিনি। একইসাথে পাশাপাশি চিরশয্যায় শায়িত নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির পিতা মরহুম কমিশনার জয়নাল আবেদীনসহ দেল আফরোজ ও জসিম উদ্দিন হাজারীর কবরে ফাতেহা পাঠ ও তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
নিজাম উদ্দিন হাজারীকে সমবেদনা জানিয়ে নাসিম চৌধুরী বলেন, আমরা সবসময় পাশে আছি। আল্লাহ এ শোক বইবার শক্তি দান করুন।
ফেনী জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজজামানও নিজাম উদ্দিন হাজারীকে সমবেদনা জানিয়ে তাদের কবর জেয়ারত করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, পৌর মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আহমেদ রিয়াদ আজীজ রাজীবসহ দলের শীর্ষ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
আজ ঈদের দিন হলেও লমী হাজারী বাড়ি ছিল প্রগাঢ় শোকে আচ্ছন্ন। বারবার মা ও ভাইয়ের কথা ভেবে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়ছিলেন নিজাম উদ্দিন হাজারী। তাকে স্বান্তনা দেবার ভাষা কারো জানা ছিলনা। মা, বাবা ও ভাইয়ের কবরের পাশে ছুটে যাচ্ছিলেন বারবার।
রবিবার (২৪ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান জসিম উদ্দিন হাজারী। পুত্রের মৃত্যুশোক সইতে পারেন নি মা দেল আফরোজ বেগম। ছেলের মৃত্যুর মৃত্যুর এক ঘন্টার ব্যবধানে তিনিও চলে যান পরপারে। রাত নয়টায় ফেনী সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযা শেষে পাশাপাশি কবরে শায়িত করা হয় দুজনকে।