করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সবাইকে কর্মস্থলে থাকার নির্দেশনা দেওয়ার পর এবার গণপরিবহন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
কোরবানির ঈদের আগের পাঁচ দিন, ঈদের দিন এবং ঈদের পরের তিন দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকবে বলে মন্ত্রিপরিষদ থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে লঞ্চ, ফেরি, স্টিমার চলাচল ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ কর্মপন্থা নির্ধারণ নিয়ে বুধবার ( ১৪ জুলাই) সচিবালয়ে এক বৈঠকের শুরুতে একথা জানান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, “ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে এবং ঈদের পরে তিন দিন গণপরিবহন বন্ধ রাখার বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন আমরা পেয়েছি। মিটিং করে সেই আলোকেই আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করব।”
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৩১ জুলাই বা ১ অগাস্ট কোরবানির ঈদ হবে। ৩১ জুলাই এবং ১ ও ২ অগাস্ট ঈদের ছুটি নির্ধারণ করা আছে।
“এবার কেউ ঈদের সময় বাড়ি যেতে চাইলে ঈদের পাঁচ দিন আগে যেতে হবে এবং ফিরতে হবে ঈদের তিন দিন পর,” বলেন খালিদ।
গত ১৩ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক আদেশে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কোরবানির ঈদের ছুটিতে সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অবশ্যই কর্মস্থলে অবস্থানের নির্দেশ দেয়।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে, আগামী ৬ অগাস্ট পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণা করা আছে।
আর গত ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত টানা সাধারণ ছুটির পর ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে অফিস চলছে। আগামী ৩ অগাস্ট পর্যন্ত এভাবেই অফিস চলবে বলে সরকারি সিদ্ধান্ত রয়েছে।
সীমিত পরিসরে অফিস চালুর পর গত ১ জুন থেকে গণপরিবহন চলছে।
মহামারীর মধ্যে রোজার ঈদের সময় বিধিনিষেধ অনেক শিথিল করায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। রোজার ঈদের পর শুধু জুন মাসেই রোগীর সংখ্যা ১ লাখ বেড়ে যায়।
দেশে এখন শনাক্ত কোভিড-১৯ রোগীর সংখ্যা দুই লাখের কাছে পৌঁছেছে। এর মধ্যে আড়াই হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।