দেশে করোনা ভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ এবং বিস্তার রোধের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ১৭ জন বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে ‘জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি’ গঠন করেছেন সরকার। শনিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের পার-১ শাখার উপসচিব শামীমা নাসরিন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনে এ কথা জানানো হয়েছে।
কমিটির সভাপতি করা হয়েছে, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শহীদুল্লাহকে। এছাড়াও জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
কমিটির সদস্য হিসেবে আছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ, প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহলা খাতুন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, স্বাধীনতা চিকিৎসা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সনাল, অবসটেট্ররিকেল অ্যান্ড গাইনোকলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রওশন আরা বেগম, আইসিডিডিআর’বি-র মেটারনাল অ্যান্ড চাইল্ড হেলথ রিসার্চের পরিচালক ডা. শামস এল আরেফিন, এনেসথিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. খলিলুর রহমান, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. তারিকুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. হুমায়ন সাত্তার, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের সাবেক প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম মোস্তফা, রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনিস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল মোহিত।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এই সব চিকিৎসকরা সরকারকে কোভিড-১৯ প্রতিরোধ, হাসপাতালে সেবার মান বৃদ্ধি, যে সব চিকিৎসক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করছেন তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী চিকিৎসকসহ অন্যান্যদের উৎসাহ প্রদানে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় ও কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন সংক্রান্ত গবেষণার বিষয়ে পরামর্শ দেবেন।
গত ২৮ মার্চ ৮ জন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে জানিয়ে আদেশে বলা হয়েছে, জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ কমিটি এবং এ কমিটি উভয় প্রয়োজনবোধে যেকোনো কমিটির এক বা একাধিক সদস্যের সঙ্গে মতবিনিময় করতে পারবে। কমিটি প্রয়োজনে সদস্য বৃদ্ধি করতে পারবে বলেও আদেশ উল্লেখ করা হয়েছে।
বাসস